১৫ই আগস্ট ছিলো বাঙালির কারবালার ঘটনা: গাফ্ফার চৌধুরী
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৩:৩১ পিএম, ১৫ আগস্ট ২০২১ রবিবার
একুশের গানের রচয়িতা, ভাষা সৈনিক ও কলামিস্ট আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরী বলেছেন, ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যার ঘটনা ছিলো দেড় হাজার বছর আগে ঘটে যাওয়া কারবালার ঘটনার মতো। এটা ছিলো বাঙালির কারবালার ঘটনা।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে শনিবার রাতে স্পীকার হুমাইয়ুন রশীদ চৌধুরী স্মৃতি পরিষদ আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু, বাঙালি ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক অনলাইন ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা ও দোওয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত মন্তব্য করেন।
আলোচনায় গাফ্ফার চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের নাম অতোপ্রোতভাবে জড়িত। বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে এখন পর্যন্ত এদেশ স্বাধীন হতনা, তাঁর সৎ যোগ্য, দূরদর্শী ও আপোষহীন নেতৃত্বের ফলে বাংলাদেশ একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আজ বিশ্বের মানচিত্রে স্থান পেয়েছে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে দুবার স্বাধীন করেছেন। এর একটি হলো ৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ, আর অন্যটি হলো মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী মাত্র তিন মাসের মাথায় সাহায্যকারী দেশ ভারতীয় মিত্র বাহিনীকে নিজ দেশে ফিরে যেতে বাধ্য করা। এ ঘটনা পৃথিবীর নানা দেশের স্বাধীনতার ইতিহাসে এক অনন্য দৃষ্টান্ত। ৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নিয়ে ভারতের প্রায় ২০ হাজার সৈন্য প্রাণ হারিয়েছেন।
আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরী ৭৫-এর ১৫ই আগস্টের ঘটনাকে বিশ্বের ইতিহাসে জঘন্যতম ও নিষ্ঠুর ঘটনা উল্লেখ করে বলেন, বহুমুখী দেশী ও বিদেশী ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে সেটা করা হয়েছিলো। বঙ্গবন্ধুর বেঁচে যাওয়া কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ আজ আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে।
বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও চেতনা বাস্তবায়নে বর্তমান সরকারকে আরও অনেক কাজ করতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধিরা এখনো মাথা ছাড়া দিয়ে উঠার চেষ্টায় লিপ্ত, ওরা এখনো দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে, এদের ব্যাপারে সজাগ ও সতর্ক থেকে মু্ক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষের দেশপ্রেমিক সকল শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থাকারও আহবান জানান তিনি।
স্পীকার হুনাইয়ুন রশীদ চৌধুরী স্মৃতি পরিষদের সভাপতি ও সাবেক মুখ্যসচিব মোঃ নজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও শহীদ জায়া বেগম শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী। আলোচনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন এ অনুষ্ঠান বাস্তবায়ন উপকমিটির আহবায়ক বরেন্য চিকিৎসক ডাঃ মামুন আল মাহতাব স্বপ্নিল।
আলোচনায় অংশ নেন বরেণ্য চিকিৎসক, বার্ন বিশেষজ্ঞ ডাঃ সামন্ত লাল সেন, স্পীকার হুমাইয়ুন রশীদ চৌধুরী ফাউন্ডেশনের সহ-সভাপতি মাহসুন নোমান চৌধুরী। আলোচনা শেষে ১৫ই আগস্টে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুসহ শাহাদত বরণকারী সকলের রুহের মাগফেরাত ও দেশের অব্যাহত সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়া করা হয়।
এ অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি দেশ ও বিদেশের প্রায় দেড় শতাধিক গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ অংশ নেন।
এএইচ/