ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

সিনহা হত্যার মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ পুনঃনির্ধারণ

কক্সবাজার প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০২:৩৪ পিএম, ১৬ আগস্ট ২০২১ সোমবার

মেজর (অবসরপ্রাপ্ত) সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ পুন:নির্ধারণ করেছে কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ আদালত। আদালত এই মামলার বাদীসহ ১৫ জন সাক্ষীকে আগামী ২৩, ২৪ ও ২৫ আগস্ট স্বাক্ষী দিতে নোটিশ জারি করেছেন।  

আজ (১৬ আগস্ট) সোমবার দুপুরে আদালতের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল সিনহা হত্যা মামলার স্বাক্ষগ্রহণের তারিখ পুন:নির্ধারণ করে এক আদেশ জারি করেন।

আলোচিত মামলার অভিযোগ গঠন ও ৬ আসামীর জামিন শুনানি ছিল আজ সোমবার। বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত টানা শুনানি চলে। এতে উভয় পক্ষের আইনজীবীদের বক্তব্য উপস্থাপন শেষে আদালত আগামী ২৬, ১৭ ও ২৮ জুলাই ১০ সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণের আদেশ দেন।

আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর পিপি এড ফরিদুল আলম জানান, গত জুলাই মাসের ২৬, ২৭ ও ২৮ তারিখ এই মামলার স্বাক্ষগ্রহণের তারিখ নির্ধারণ ছিল। মহামারি করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় সরকার ঘোষিত লকডাউনের কারণে হাইকোর্টের নির্দেশে সারাদেশের মতো কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের স্বাভাবিক কার্যক্রম বন্ধ থাকে। একারণে ওই তারিখে চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হতে পারেনি। 

তিনি জানান, গত ১১ আগস্ট থেকে লকডাউন তুলে নিলে আদালতের কার্যক্রম শুরু হওয়ায় জেলা ও দায়রা জজ আগামী ২৩, ২৪ ও ২৫ আগস্ট নতুন করে এই মামলার স্বাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ ধার্য্য করেন। ওই তারিখে বাদীসহ স্বাক্ষীদের স্বাক্ষ্যগ্রহণ শুরু করবেন আদালত।

গত বছরের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে গাড়ি তল্লাশীকে কেন্দ্র করে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাখেদ খান।
এ ঘটনায় গত ৫ আগস্ট নিহত সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস বাদী হয়ে বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সাবেক ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলীকে প্রধান ও টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ নয় জন পুলিশ সদস্যকে আসামি করা হয়।

আদালত মামলাটির তদন্ত করার আদেশ দেন র‌্যাবকে। এরপর গত ৬ আগস্ট প্রধান আসামি লিয়াকত আলী ও টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ৭ পুলিশ সদস্য আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। পরবর্তীতে সিনহা হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার সংশ্লিষ্টতা পাওয়ায় অভিযোগে পুলিশের দায়ের মামলার ৩ জন সাক্ষী এবং শামলাপুর চেকপোস্টের দায়িত্বরত আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) ৩ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।

এছাড়া একই অভিযোগে পরে গ্রেপ্তার করা হয় টেকনাফ থানা পুলিশের সাবেক সদস্য কনস্টেবল রুবেল শর্মাকেও। মামলায় গ্রেপ্তারকৃত ১৪ আসামিদের র‌্যাবের তদন্তকারী কর্মকর্তা বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। পরে ১৩ ডিসেম্বর ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশীট জমা দেন তদন্তকারী সংস্থা র‌্যাব।

এএইচ/