কুড়িগ্রাম মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে প্রসূতি ফেরত দেয়ার অভিযোগ
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ০৩:১৩ পিএম, ১৭ আগস্ট ২০২১ মঙ্গলবার
অফিস সময়ের দোহাই দিয়ে কুড়িগ্রাম মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে আগত প্রসূতি মায়েদের ফেরত পাঠিয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। প্রসববেদনা নিয়ে আগত রোগীকে আলট্রাসনোগ্রাম ও অন্যান্য পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থাপত্র লিখে দেয়া হয় স্বজনদের। পরে পরীক্ষা-নিরীক্ষার রিপোর্ট নিয়ে আসলে জানিয়ে দেয়া হয় অফিস সময় শেষ।
বলা হয়, যদি রিস্ক নেন তাহলে ভর্তি রাখেন আগামীকাল করে দেয়া হবে। রোগীর সার্বিক পরিস্থিতি ও অনাগত সন্তানের ভবিষ্যৎ বিবেচনায় স্বজনরা রোগীকে তড়িঘড়ি করে বেসরকারি ক্লিনিকে নিয়ে যান।
গত ৮ আগস্ট রোববার সকাল সাড়ে ১১টায় সদর উপজেলার দাসেরহাট এলাকা থেকে পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের প্রাক্তন এক এফডব্লিউএ তার সন্তানসম্ভবা পুত্রবধূকে নিয়ে আসেন এই মাতৃসদনে। তাকে আলট্রাসনোগ্রাম ও অন্যান্য প্যাথোলজিক্যাল পরীক্ষা করিয়ে আনার কথা বলেন ডাঃ মারুফা।
দুপুর দেড়টার দিকে পরীক্ষা-নিরীক্ষার রিপোর্ট নিয়ে আসলে ডাঃ মারুফা জানিয়ে দেন অফিস সময় শেষ। আজকে অপারেশন হবেনা, তবে আপনি যদি রিস্ক নেন তাহলে ভর্তি রাখেন আগামীকাল করে দেব।
পুত্রবধূকে নিয়ে আসা ওই এফডব্লিউএ জানান, পরে ডা. আপার পরামর্শে আইডিয়াল ক্লিনিকে নিয়ে গেলে সেখানে তিনি বিকেল ৪টার দিকে সিজার করেন।
এ ব্যাপারে ডা. মারুফা আক্তার জাহানকে ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
তবে পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের সহকারী পরিচালক মোদাব্বের হোসেন জানান, সিজার বা ডেলিভারির ক্ষেত্রে ২৪ ঘন্টাই সার্ভিস দিতে হবে। এ ব্যাপারে এডিসিসি ডাঃ নজরুল ইসলাম বলেন, জনগণের সেবায় ২৪ ঘন্টা মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের সেবা কার্যক্রম চালু রয়েছে।
পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ-পরিচালক মীর রফিকুল ইসলাম জানান, ডেলিভারি রোগীর বেলায় অফিস সময়ের বাধ্যবাধকতা নেই। তবে সীমান্ত জেলা কুড়িগ্রামে কোন চিকিৎসক আসতে চাননা বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, কুড়িগ্রাম মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত মেডিকেল অফিসারের যাবতীয় অনিয়ম সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন ইতিপূর্বে বিভিন্ন অনলাইন পত্রিকা ও প্রিন্ট মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়। এরই প্রেক্ষিতে পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ-পরিচালক মীর রফিকুল ইসলাম দুই সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন।
পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের সহকারী পরিচালক মোঃ মোদাব্বের হোসেন এবং ডিস্ট্রিক্ট কনসালটেন্ট ডাঃ মনজুর রহমানের তদন্ত কমিটির ৭৪ পৃষ্ঠা সম্বলিত প্রতিবেদন গত জুলাই মাসে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে।
এএইচ/