ঢাকা, রবিবার   ২২ ডিসেম্বর ২০২৪,   পৌষ ৮ ১৪৩১

ধর্ষণের পর হত্যা : আসামির মৃত্যুদণ্ড আপিলেও বহাল

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৩:০৪ পিএম, ১৮ আগস্ট ২০২১ বুধবার | আপডেট: ০৩:১০ পিএম, ১৮ আগস্ট ২০২১ বুধবার

১৭ বছর আগে কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুের ১৩ বছরের শিশুকে ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে এক আসামির মৃত্যুদন্ড বহাল রেখে অপর তিন আসামির সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ।

আসামিদের আনা জেল আপিলের শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের ৫ বিচারপতির ভার্চুয়াল বেঞ্চ আজ এই রায় দেন। আসামি শুকুর আলীর মৃত্যুদন্ড বহাল রাখেন। আর আসামি নুরুদ্দিন সেন্টু, আজানুর রহমান ও মামুন হোসেনের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেন আদালত।

আদালতে আসামি পক্ষের শুনানিতে ছিলেন এডভোকেট এস এম শাহজাহান ও ব্যারিস্টার রাগীব রউফ চৌধুরী। আর রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৪ সালের ২৫ মার্চ রাতে দৌলতপুর উপজেলার লালনগর গ্রামের ১৩ বছর বয়সী ওই শিশু প্রতিবেশীর বাড়ি থেকে টেলিভিশন দেখে বাড়ি ফেরার পথে আসামিরা তাকে অপহরণ করে। পরবর্তীতে লালনগর ধরমগাড়ী মাঠের একটি তামাক ক্ষেতে নিয়ে তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ শেষে হত্যা করে। পরদিন ভিকটিমের বাবা পাঁচজনকে আসামি করে দৌলতপুর থানায় মামলা করেন। ওই মামলার বিচার শেষে ২০০৯ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি পাঁচ আসামির মৃত্যুদন্ড দিয়ে রায় দেন কুষ্টিয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আকবর হোসেন। যে পাঁচজনকে মৃত্যুদন্ড দেয়া হয় তারা হলেন-কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার লালনগর গ্রামের খয়ের আলীর ছেলে শুকুর আলী, আব্দুল গনির ছেলে কামু ওরফে কামরুল, পিজাব উদ্দিনের ছেলে নুরুদ্দিন সেন্টু, আবু তালেবের ছেলে আজানুর রহমান ও সিরাজুল প্রামাণিকের ছেলে মামুন হোসেন।

পরবর্তীতে মৃত্যুদন্ড প্রাপ্তদের ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে এবং আসামিরা রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন। এরই মধ্যে আসামি কামু ওরফে কামরুল মারা যায়। এর পর ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের আপিলের শুনানি শেষে হাইকোর্ট চার জনেরই মৃত্যুদন্ড বহাল রেখে রায় দেন। 

হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা জেল আপিলের শুনানি নিয়ে আজ আপিল বিভাগ শুকুর আলীর মৃত্যুদন্ড বহাল রাখেন। আর আসামি নুরুদ্দিন সেন্টু, আজানুর রহমান ও মামুন হোসেনের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেন। সেই সাথে এদের তিন জনকে কারাগারের কনডেম সেল থেকে সাধারণ সেলে স্থানান্তরের নির্দেশ দেয়া হয়। পাশাপশি তাদেরকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো দুই বছরের কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। এই তিন আসামি তাদের কারাদন্ডের ক্ষেত্রে ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৫(এ) অনুযায়ি সুবিধা পাবেন বলে রায়ে বলা হয়।
সূত্র : বাসস
এসএ/