ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

জনগণ সচেতন না হলে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ দুরূহ হয়ে উঠবে: মেয়র তাপস

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:৪২ পিএম, ১৮ আগস্ট ২০২১ বুধবার

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ঢাদসিক) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, জনগণের সচেতনতার অভাব ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম দুরূহ করে তুলছে।

বুধবার (১৮ আগস্ট) নগরীর ৫৫ নম্বর ওয়ার্ডে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্যোগে শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা বৃত্তি এবং ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের মাঝে অনুদান প্রদান কার্যক্রম শেষে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।

মেয়র বলেন, ‘আমরা এডিস মশার উৎসস্থলগুলো ধ্বংস করছি। কিন্তু পুরো শ্রাবণ মাস জুড়ে থেমে বৃষ্টি হয়েছে। ফলে বিভিন্ন জায়গায় এখনো পানি জমছে। আমাদের যদি এক বাসায় তিনবার যেতে হয় তাহলে কাজটি অত্যন্ত কঠিন হয়ে যায়। কিন্তু তিনি যদি সচেতন হন, তাহলে কাজটি আমাদের জন্য কার্যকর হয়। এখন জনগণ যদি সচেতন না হয়, তাহলে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম দুরূহ হয়ে ওঠে।’     

ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, ‘স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে যে তালিকা পাচ্ছি, সেটা ধরে ডেঙ্গু রোগীদের বাসায় বাসায় যাচ্ছি। এছাড়াও বিভিন্নভাবে যে তথ্যগুলো আসে, আমরা সেখানেও এডিস মশার বিস্তার রোধে উৎস নিধন করছি, প্রজননস্থলগুলো-আধারগুলো ধ্বংস করছি। কিন্তু তথ্যগুলো যদি পরিপূর্ণ হয়, তথ্যে বিভ্রাট না থাকে এবং তথ্যগুলো যদি সঠিকভাবে পাই, তবে কাজটি আরও সহজ হয়ে যাবে।’

অনেক সময় ভুল তথ্যের কারণে এডিস মশার লার্ভা নিয়ন্ত্রণ দুরূহ হয়ে যায়, বিলম্বিত হয় উল্লেখ করে মেয়র বলেন, সকলের কাছে নিবেদন, আমাদেরকে সঠিক তথ্য দেবেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ছাড়াও সকলের কাছে নিবেদন করছি, আপনারা যে সকল তথ্য পাবেন আমাদেরকে সরাসরি জানাবেন। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সর্বাত্মকভাবে কাজ করে চলেছি। সঠিক তথ্য পাওয়া মাত্রই সেখানে ব্যবস্থা নিতে পারব। উৎসস্থল নিধন ছাড়া এডিস মশার বিস্তার রোধ করা সম্ভব না। সারা বিশ্বেই এটা স্বীকৃত, পরীক্ষিত। সেই কাজটাই করছি কিন্তু কাজটি কার্যকরভাবে করার জন্য পর্যাপ্ত ও পূর্ণাঙ্গ তথ্য প্রদান অত্যাবশ্যকীয়।  

এ সময় তিনি জানান, প্রত্যেকদিনই নিয়ন্ত্রণ কক্ষের মাধ্যমে ২৪ ঘন্টায় যে সকল রোগী সনাক্ত হয়, তারা হাসপাতালে ভর্তি হয়। তাদের ঠিকানাগুলো নিয়ে থাকি। কিন্তু আমরা লক্ষ্য করি যে, এখানে বিভিন্নভাবে  আংশিক তথ্য দেয়া হয়। অনেক ঠিকানা সঠিক নয়, ঠিকানায় পর্যাপ্ত তথ্য দেওয়া হয়না। সুতরাং আমাদের খুব বেগ পেতে হয়।

এর আগে মেয়র ৫৫ নম্বর ওয়ার্ডের ঝাউচর এলাকায় দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্যোগে ১১৬ জন শিক্ষার্থীর প্রত্যেকের মাঝে সাড়ে ৪ হাজার টাকা শিক্ষা বৃত্তি এবং ১৮৬ জন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের মাঝে প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে অনুদান প্রদান করেন। এছাড়াও তিনি নগরীর ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে বাংলাদেশ মাঠের উদ্বোধন করেন।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী মো. সেলিম, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. শরীফ আহমেদ, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর সিতওয়াত নাঈম, প্রধান প্রকৌশলী মো. রেজাউর রহমান, সংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ মো. সিরাজুল ইসলাম, ২৪ নম্বর ওয়ােের্ডর কাউন্সিলর মো. মোকাদ্দেস হোসেন জাহিদ, ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. আনোয়ার ইকবাল, ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শেখ মোহাম্মদ আলমগীর, ৫৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. নুরে আলম, ৫৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদ হোসেন, ৫৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. সাইদুল ইসলাম এবং সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডসমূহের সংরক্ষিত আসনের মহিলা কাউন্সিলর উপস্থিত ছিলেন।

এসি