ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২১ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়ে সোনার বাংলা বিনির্মাণ (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৩:০০ পিএম, ২০ আগস্ট ২০২১ শুক্রবার

গরীব-দু:খী-মেহনতি মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়ে সোনার বাংলা বিনির্মাণই বঙ্গবন্ধুর রাষ্ট্রচিন্তা ও উন্নয়ন দর্শনের মূল প্রতিপাদ্য। প্রাধান্য ছিলো সমবায়, কৃষি, শিক্ষা আর ব্যক্তিখাতের বিনিয়োগে। এই জন্য প্রশাসনকে বিকেন্দ্রিকরণ করে ৬১ জেলায় গভর্ণর নিয়োগ দিয়েছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। 

ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণেই বঙ্গবন্ধু রাষ্ট্র কাঠামোর রূপরেখা উপস্থাপন করেছিলেন। গরিব, দু:খী, নির্যাতিত মানুষের কথা বারবার উঠে এসেছিলো রেসকোর্সের সেই ভাষণে। যার প্রেক্ষিতে নয় মাসের রক্তক্ষয়ী লড়াই-সংগ্রামে জন্ম নেয় স্বাধীন বাংলাদেশ। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর স্বপ্নই হয়ে ওঠে বঙ্গবন্ধুর রাষ্ট্রচিন্তার কেন্দ্রবিন্দু।

বঙ্গবন্ধুর উন্নয়ন-দর্শনের সারকথা ছিল গণমানুষের উন্নয়ন, কোনো গোষ্ঠী বিশেষের নয়। ১৯৭২ এর ১৪ মার্চ এক সমাবেশে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘এবারের সংগ্রাম, দেশ গড়ার সংগ্রাম।’ 

শোষণ-বঞ্চনা-দুর্দশামুক্ত দেশ গড়তে দ্বিতীয় বিপ্লবের ডাক দেন বঙ্গবন্ধু। ২১ জুলাই ১৯৭৫ প্রশাসনকে বিকেন্দ্রিকরণ করে ৬১টি জেলায় নিয়োগ দিয়েছিলেন গভর্ণর। যারা কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে প্রতিটি জেলায় জনগণের সাথে সমন্বয় সাধন করবে, কাজ করবে। যার ফলে স্থানীয় শিক্ষা, চিকিৎসা, আইন-শৃঙ্খলাসহ সার্বিক উন্নয়ন ওই জেলা গভর্ণরের অধীনেই পরিচালিত হবে।

আর এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নেই স্বাধীনতার মাত্র কয়েক বছরের মধ্যেই দেশের প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনার অনেকটাই বাস্তবে রূপ দিতে পেরেছিলেন বঙ্গবন্ধু; দিয়েছিলেন আগামীর বাংলাদেশের পথ নির্দেশনা।

ভিডিওতে দেখুন-

 

এনএস//