ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১

আরও একটি নতুন প্রজাতির ব্যাঙ আবিষ্কার

জবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০৪:১৫ পিএম, ২৩ আগস্ট ২০২১ সোমবার

আরও একটি নতুন প্রজাতির ব্যাঙ আবিষ্কার করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) প্রাণীবিদ্যা বিভাগের দুই শিক্ষার্থী হাসান আল রাজী চয়ন ও মারজান মারিয়া। এই দম্পতি চট্টগ্রাম বিভাগের চুনাতি বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ অভয়ারণ্য থেকে এই ব্যাঙের নমুনা সংগ্রহ করেন। এটি পরিচিত ব্যাঙয়ের থেকে কিছুটা আলাদা প্রকৃতির।

সোমবার (২৩ আগস্ট) মুঠোফোনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন দুই শিক্ষার্থী। গত ২০১৯ সালের জুন মাসে চট্টগ্রাম বিভাগের চুনাতি বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ অভয়ারণ্য থেকে তারা এই ব্যাঙের নমুনা সংগ্রহ করেন।

গবেষণায় ব্যাঙটিকে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করে তারা বুঝতে পারেন যে, এটা পরিচিত ব্যাঙয়ের থেকে কিছুটা আলাদা প্রকৃতির। এটা নিয়ে বিস্তর গবেষণা করে প্রাণীবিদ্যা বিভাগের দুই শিক্ষার্থী বুঝতে পারেন যে, এটা পুরো বিশ্বের জন্য একদম নতুন প্রজাতির ব্যাঙ। 

পরবর্তীতে এই গবেষণা আমেরিকার পিআরজে জার্নালে সাবমিট করার ছয় মাস রিভিউর পর তারা অনুমোদন দেয়। ক্রিয়েটিভ কনজারভেশন এ্যালাইনের সহায়তায় তা ১৯ আগস্ট প্রকাশ পায়। 

নতুন প্রজাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য এ ব্যাঙের শারীরিক পরিমাপ, এদের মলিকুলার বিশ্লেষণের পাশাপাশি ডাকের বিশ্লেষণও করেছেন তারা। যা অন্যান্য ব্যাঙদের থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন। চট্টগ্রামের নাম অনুসারে ও গর্তে বাস করার কারণে নতুন এই ব্যাঙের নামকরণ করা হয়েছে ‘গাতা ব্যাঙ’।

এ বিষয়ে হাসান আল রাজী চয়ন বলেন, ‘নতুন প্রজাতির এই ব্যাঙটি আমাদের তৃতীয় আবিষ্কার। নতুন কিছু আবিষ্কারের মাধ্যমে বাংলাদেশকে বিশ্বের কাছে উপস্থাপন করাটা আমাদের জন্য অনেক আনন্দদায়ক। আমরা বিশ্বকে নতুন কিছু উপহার দিতে কাজ করে যাবো সব সময়।’

তিনি বলেন, গবেষণার জন্য বন্য পরিবেশের দিকে আমাদের নজর দিতে হবে। বর্তমান সময়ে বন্যপ্রাণীরা  নির্যাতিত হয়ে থাকে মানুষের অত্যাচারের ফলে। সুতরাং পরিবেশ রক্ষায় আমাদের আরও সোচ্চার হতে হবে।

এ বিষয়ে মারজান মারিয়া বলেন, ‘নতুন প্রজাতির এই ব্যাঙ আবিষ্কার করে আমরা অনেক খুশী। নতুন এই আবিষ্কার আমাদের জন্য একটা অনুপ্রেরণা। নতুন কিছু আবিষ্কার করে বিশ্বের কাছে বাংলাদেশকে তুলে ধরতে পেরে আমরা গর্বিত। ভবিষ্যতে এমন আরও কাজ করতে চাই।’ 

এর আগে ২০২১ সালের মে ও ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে পুরো বিশ্বর জন্য আরও দুটি নতুন প্রজাতির ব্যাঙ আবিষ্কার করেছিলেন এই দম্পতি।

এএইচ/