শিশুদের সুরক্ষায় স্ক্রিন টাইম কমানোর পরামর্শ
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৬:৩০ পিএম, ২৩ আগস্ট ২০২১ সোমবার | আপডেট: ০৬:৪৯ পিএম, ২৩ আগস্ট ২০২১ সোমবার
ইউনিসেফের সংজ্ঞা অনুসারে, ১৮-র কম বয়সীরা শিশু এবং তারাই আগামীর ভবিষ্যৎ। করোনা মহামারিতে স্ক্রিন টাইম পরিমিত রেখে তাদের সঠিক বিকাশের জন্যে ইউনিসেফ একটি গাইডলাইন প্রকাশ করেছে অভিভাবকদের জন্যে। তার আলোকে কিছু নির্দেশনা এখানে তুলে ধরা হলো—
মা-বাবার সুস্পষ্ট ধারণা থাকা উচিত সন্তান ডিভাইসে কী করছে। সন্তান যেন গঠনমূলক এবং সৃজনশীল কাজে ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে সেটার ওপরে জোর দিন।
শিশুরা মনোযোগ চায়। খেলার সময় তাদের মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটে। ভাষাগত ও সামাজিক দক্ষতাও বিকশিত হয়। সন্তানের সঙ্গে খেলার অভ্যাস মা-বাবার সুস্থতার জন্যেও গুরুত্বপূর্ণ।
পরিবারের সবাই একসাথে বসে খাবার খান। সবরকম ডিভাইস এসময় দূরে সরিয়ে রাখুন, যা শিশুর মানসিক বিকাশের পাশাপাশি পরিবারের সদস্যদের স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করবে।
দ্রুত ঘুমিয়ে পড়তে ও নির্দিষ্ট সময়ে জেগে উঠতে চাইলে বিছানায় যাওয়ার অন্তত দুঘণ্টা আগে সকল ডিভাইস সরিয়ে রাখুন।
কাজের সময় ও পড়ালেখার সময় সব ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া বর্জন করুন। আপনার মনোযোগ বাড়বে। সময়মতো আপনার কাজগুলো করতে পারবেন।
বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ ও খেলাধুলা দুটোই শিশুর জন্যে প্রয়োজনীয়। আপনার সন্তান যেন বন্ধুদের সাথে বাস্তবে যোগাযোগ করতে পারে সেই ব্যবস্থা করুন।
অনেক ধরনের বাস্তব খেলা আছে, যা একইসাথে দক্ষতা বাড়াবে, নির্মল আনন্দও দেবে। কাজ, পড়াশোনা, যোগাযোগ ও খেলা সবই স্ক্রিন নির্ভর হয়ে পড়েছে, তাই মা-বাবা ও শিশু উভয়কেই নিজেদের সক্রিয় রাখার পথ খুঁজে নিতে হবে।
চাইলেই যেন আপনার সন্তান ডিভাইস হাতে তুলে নিতে না পারে। সেটা নিশ্চিত করতে ডিভাইস এমন জায়গায় রাখুন, যেখানে সে সহজে নাগাল পায় না। বই, সংবাদপত্র, কমিকস, পাজল, বোর্ড গেমস ইত্যাদি তার নাগালের মধ্যে রাখুন।
একঘেয়েমি কাটানোর উপায় যখন নিজেকেই খুঁজে নিতে হয়, তখন শিশুরা কল্পনাশক্তি বিকাশের সুযোগ পায়। লাগাতার বিনোদন তাদের জন্যে প্রয়োজনীয় তো নয়ই; বরং তার বিকাশের জন্যে এটা ক্ষতিকর।
স্ক্রিনের সামনে কতক্ষণ কাটাবেন সে ব্যাপারে শুধু সন্তান নয়, পরিবারের সবার জন্যেই নিয়ম ঠিক করুন। এ ব্যাপারে অভিভাবকদের হতে হবে রোল মডেল।
কেআই//