বংশাল ও রায়ের বাজারে যুবলীগের খাদ্য সামগ্রী বিতরণ
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৭:৫৭ পিএম, ২৭ আগস্ট ২০২১ শুক্রবার | আপডেট: ০৮:০০ পিএম, ২৭ আগস্ট ২০২১ শুক্রবার
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬ তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের অন্তর্গত ৩২নং ওয়ার্ড যুবলীগ ও ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের অন্তর্গত ৩৪নং ওয়ার্ড কর্তৃক আয়োজিত ১৫০০ অসহায় ও গরীব মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৭ আগস্ট) সকাল ১১টায় বংশাল হাজী জুম্মন কমিউনিটি সেন্টারে ও বিকাল ৪টায় রায়ের বাজার মসজিদের পাশে, পুলিশ ফাঁড়ি রোডে এসব খাদ্য সামগ্রী দেয়া হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিল। সভাপতিত্ব করেন-ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণ ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইন উদ্দিন রানা, সঞ্চালনা করেন-ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচ এম রেজাউল করিম রেজা। ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের ৩৪নং ওয়ার্ড আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুল, সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইসমাইল হোসেন। এর আগে সকাল ৯টায় জাতীয় কবি নজরুল ইসলাম এর ৪৫তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে কবির সমাধি সৌধে ও যুবলীগ নেতা শহীদ বদির উদ্দিন বদু’র ২৬তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সকাল ১০টায় জুরাইন কবরস্থানে তার কবরে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন ও ফাতেহা পাঠ করা হয়।
এসময় যুবলীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে এক বিবৃতিতে যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন, ১৫ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবস। মানবসভ্যতার ইতিহাসে ঘৃণ্য ও নৃশংসতম হত্যাকাণ্ডে কালিমালিপ্ত বেদনাবিধুর শোকের দিন। যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর সকল অনুভূতি, ত্যাগ, সংগ্রাম, বীরত্বপূর্ণ নেতৃত্ব, বাঙালি জাতির প্রতি গভীর মমত্ববোধ ও ভালবাসা, রাজনৈতিক দূরদর্শিতা ও আদর্শের দ্বারা সমগ্র বাঙালি জাতিকে উজ্জীবিত করে স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন-১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্টে সেই বঙ্গবন্ধুকেই স্বপরিবারে মানবতার শত্রু প্রতিক্রীয়াশীল ঘাতকচক্রের হাতে প্রাণ দিতে হয়েছিল।
তিনি বলেন, আপনারা জানেন ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট নরপিশাচ রূপী খুনিরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করেই শান্ত হয়নি, তারা বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ করতে ঘৃণ্য ইনডেমনিটি আইন জারি করে, যার নেপথ্যের মূল কারিগর ছিলো খুনি জিয়াউর রহমান।
পরশ বলেন, যেহেতু বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গঠিত সরকার বঙ্গবন্ধু’র হত্যাকারীদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে নিয়মতান্ত্রিক বিচারিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ২০১০ সালে ঘাতকদের ফাঁসির রায় কার্যকর করা হয় সেহেতু বর্তমান প্রজন্মের এবং আমাদের দাবি ১৫ই আগস্টের হত্যাকাণ্ডের পিছনে কুশিলব হিসেবে কারা জড়িত ছিলো একটি তদন্ত কমিশন গঠন করে তদন্তের মাধ্যমে জাতির সামনে তাদের মুখোশ উন্মোচন করা হোক।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, আপনারা জানেন করোনা মহামারির শুরু থেকেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নির্দেশে যুবলীগের নেতা-কর্মীরা টেকনাফ থেকে তেতুঁলিয়া, রূপসা থেকে পাথুরিয়া, প্রতিটি ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, থানা, পৌরসভা, উপজেলা, জেলা, মহানগর ও সিটি কর্পোরেশনে অসহায় ও দুঃস্থ মানুষের সেবায় খাদ্যসহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় সামগ্রী নিয়ে নিয়োজিত রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, উপস্থিত আমার প্রিয় মা-বোনেরা আপনারা জানেন-করোনা আক্রান্ত মানুষের পাশে যখন কেউ ছিল না, করোনা আক্রান্ত লাশের দাফন বা সৎকার করতে যখন কেউ ছিলনা তখনও আমার আপনার প্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে যুবলীগের নেতা-কর্মীরা নিজেদের জীবন বাঁজি রেখে করোনা আক্রান্ত রোগীর সেবা দিয়েছে, চিকিৎসা দিয়েছে, মৃত লাশের দাফন করেছে। এখনও তা সারাদেশে চলমান রয়েছে।
আমি যুবলীগের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি চিকিৎসক সমাজ, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, পুলিশ বাহিনীসহ এই করোনার মহামারিতে সম্মুখ যোদ্ধা হিসেবে প্রিয় নেত্রীর নির্দেশে যারা অসহায় মানুষের পাশে রয়েছে। রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার সঠিক নেতৃত্বে বিশ্বের অনেক উন্নত দেশের চেয়েও বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি অনেকটা ভাল রয়েছে। এ জন্য মহান আল্লাহ্’র নিকট শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি।
তিনি আরও বলেন, এদেশে জামাত-বিএনপি নামের দুটি রাজনৈতিক দল রয়েছে। তারা এই করোনার মহাসংকটে মানুষের পাশে নাই। তারা রয়েছে কিভাবে দেশের ক্ষতি করা যায় সেই চিন্তায়, দেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করা যায় সেই ধান্দায়। তিনি বিএনপি-জামাতকে হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলেন-যুবলীগের নেতা-কর্মীরা থাকতে তাদের কোন ষড়যন্ত্রই সফল হবে না।
এসময় উপস্থিত ছিলেন-যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোঃ রফিকুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ সোহেল পারভেজ, আবু মুনির মোঃ শহিদুল হক চৌধুরী রাসেল, প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মোঃ সাদ্দাম হোসেন পাভেল, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক মোঃ শামছুল আলম অনিক, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক মীর মোঃ মহি উদ্দিন, উপ-প্রচার সম্পাদক আদিত্য নন্দী, উপ-তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক এন আই আহমেদ সৈকত, উপ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক হরে কৃষ্ণা বৈদ্য, সহ-সম্পাদক আলমগীর হোসেন শাহ জয়, মোঃ আরিফুল ইসলাম, কার্যনির্বাহী সদস্য এড. গোলাম কিবরিয়া, শেখ মাতিন মোসাব্বির সাব্বির, প্রফেসর ড. আরশেদ আলী আশিক, মানিক লাল ঘোষ, ইঞ্জি. মোঃ মুক্তার হোসেন চৌধুরী কামাল, এড. শওকত হায়াতসহ কেন্দ্রীয়, মহানগর ও বিভিন্ন ওয়ার্ড নেতৃবৃন্দ।
এসি