গৃহবধূর লাশ উদ্ধার, পরিবারের দাবি হত্যা
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১১:৫৪ পিএম, ২৭ আগস্ট ২০২১ শুক্রবার
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার উথলি গ্রামে ঊর্মি খাতুন (২৫) নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২৭ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ঊর্মি খাতুন জীবননগর উপজেলার উথলী গ্রামের তেঁতুলতলা পাড়ার সিএনজি চালক জিয়াউর রহমানের স্ত্রী। তবে নিহত স্বজনদের দাবি, উর্মি খাতুনকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে ঝুলিয়ে রেখেছে তার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন। খবর পেয়ে জীবননগর থানা পুলিশ বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য বলেন, প্রতিদিনের ন্যায় শুক্রবার সকালে সিএনজি নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন জিয়াউর রহমান। দুপুরে বাড়িতে ফিরে এসে ঘরের দরজা বন্ধ থাকায় জিয়াউর রহমানের সন্দেহ হয়। পরে প্রতিবেশিদের সহযোগিতায় দরজা ভেঙ্গে সিলিং ফ্যান থেকে ঊর্মি খাতুনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
স্বামী জিয়াউর রহমান জানান, আট বছর আগে আমাদের পাবিবারিকভাবে বিবাহ হয়। আমাদের দাম্পত্য জীবনে কোন সন্তান না হওয়ায় আমার স্ত্রী উর্মি খাতুন মানসিক অশান্তিতে ভুগছিলেন। আমার ধারণা এ জন্য আত্মহত্যা করেছে।
নিহত ঊর্মি খাতুনের পিতা জানায়, আমার মেয়েকে দীর্ঘদিন যাবত জামাই জিয়াউর রহমান ও তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন বিভিন্নভাবে অত্যাচার করে আসছিল। শুক্রবার কোন এক সময় আমার মেয়েকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন শারীরিক নির্যাতন করে হত্যা করে। এরপর গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা বলে অপপ্রচার করছে তারা। আমার মেয়ে হত্যার বিচার চাই।
স্থানীয় ইউপি সদস্য জহুরুল হক ঝন্টু জানান, আমার ওয়ার্ডের তেতুলতলা পাড়ায় ঊর্মি খাতুন নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই মেয়ের বাবা ও তার পরিবারের সদস্যরা আমাকে জানিয়েছে উর্মি খাতুনকে হত্যার পর ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। তবে এর আগে এই দম্পতির ব্যাপারে কোন অভিযোগ আমি শুনিনি।
জীবননগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম জানান, শুক্রবার বিকালে উর্মি খাতুনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে নিহতের পরিবার অভিযোগ করলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কেআই//