নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সতর্কতার পরামর্শ প্রিন্সের
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৯:৫০ এএম, ২৯ আগস্ট ২০২১ রবিবার
অ্যাশওয়েল প্রিন্স
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আসন্ন পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে মুশফিকুর রহিম এবং লিটন দাসের প্রত্যাবর্তনে দলের ব্যাটিং লাইনআপ আরো শক্তিশালী হবে বলে মনে করছেন বাংলাদেশের ব্যাটিং কোচ অ্যাশওয়েল প্রিন্স। সেইসঙ্গে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দলকে সতর্কতার পরামর্শও দিয়েছেন তিনি।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজে বাজে ব্যাটিংয়ের পর মুশফিক-লিটনের প্রত্যাবর্তন দলের ব্যাটিং লাইন-আপকে আরও শক্তিশালী করবে। তাদের অভিজ্ঞতাও দলের কাজে লাগবে। প্রিন্সের মতে, তাদের প্রত্যাবর্তনে তারুণ্য এবং অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের সমন্বয়ে বাংলাদেশকে আরো শক্তিশালী করবে।
গতকাল এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে প্রিন্স বলেন, ‘লিটন ও মুশফিকের প্রত্যাবর্তন দলের জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাদের প্রত্যাবর্তন অভিজ্ঞতা এবং তরুণদের মধ্যে যোগসূত্র তৈরি করবে। দলে অভিজ্ঞ এবং তারুণ্যেও একটি ভাল সমন্বয় রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই বাংলাদেশ দল সম্পর্কে আমাকে যেটা সত্যিই এক্সাইটেড করে, তা হলো- আমাদের অভিজ্ঞ খেলোয়াড় এবং তরুণ খেলোয়াড়দের ভালো মিশ্রণ রয়েছে। শুধু ব্যাটিং বিভাগে নয়, বোলিং বিভাগেও। আমাদের কিছু অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ী খেলোয়াড় রয়েছে। এই তরুণরা একটি বড় টুর্নামেন্টে সফল হবার অভিজ্ঞতা নিয়ে এসেছে। এটি সত্যিই অনুভব করার মতো যে, অভিজ্ঞতা এবং তারুণ্যের মধ্যে ভালো যোগসূত্র রয়েছে। প্রতিটি বিভাগে ভালো মানের পেসার, স্পিনার ও ব্যাটসম্যান রয়েছে।’
এই মাসের শুরুর দিকে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে অত্যন্ত ধীর এবং নিম্নমানের উইকেটে খেলার কারণে দেশের জনগণের কাছ থেকে সমালোচনা শুনতে হয়েছে বাংলাদেশকে। সিরিজটি ৪-১ ব্যবধানে জিতেছিলো তারা। কিন্তু টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবে এই সিরিজ নিয়ে সমালোচকেরা যুক্তি দিয়েছিলেন, এই ধরণের উইকেটে খেলে সমস্যা হতে পারে।
তবে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজেও একই ধরণের উইকেটের ইঙ্গিত দিলেন প্রিন্স। সেইসঙ্গে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা উইকেট অনুযায়ী নিজেদের খাপ খাইয়ের নেয়ার ক্ষমতা দেখিয়েছে বলে মনে করেন প্রিন্স।
তিনি বলেন, ‘আমি নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেও একই ধরণের কন্ডিশন আশা করছি। অস্ট্রেলিয়া সিরিজের বিষয়ে ব্যাটসম্যানরা গতকাল চমৎকার আলোচনা করেছেন। তারা ঐ সিরিজে না খেলা লিটন এবং মুশফিকের সাথে শেয়ারও করেছেন। এসব অভিজ্ঞতা ছেলেরা অস্ট্রেলিয়ার সিরিজে কে কি কাজ করেছে এবং কি উন্নতি করতে হবে, সেগুলো নিউজিল্যান্ড সিরিজের আগে ভাগ করে নিয়েছে।’
প্রিন্স আরও বলেন, ‘আমি মনে করি, জিম্বাবুয়ে এবং অস্ট্রেলিয়া সিরিজের মধ্যে সবচেয়ে বড় পার্থক্য হলো- ভিন্ন ব্যাটিং কন্ডিশন। ব্যাটিংয়ের জন্য মানিয়ে নেয়াটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ দিক। আমি মনে করি, জিম্বাবুয়ের বাউন্সি কন্ডিশনে ভালোভাবে মানিয়ে নিয়েছিলো দল। সেই সিরিজে আমরা জিতেছিলাম। এরপর দেশে ফিরে আমরা কম বাউন্স এবং স্কোরিং রেটে উন্নতি করেছি।’
ব্যাটিং কোচ বলেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে আমি ওপেনিং ব্যাটসম্যানদের নিয়ে সত্যিই উদ্বিগ্ন নই। আমি মনে করি জিম্বাবুয়েতে আমাদের একটি বা দু’টি ভালো জুটি ছিল, কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে কন্ডিশন কঠিন ছিল। ধীর গতির পিচে বাউন্ডারি আদায় করা সহজ নয়। কন্ডিশনের সাথে মানিয়ে নেয়াটা গুরুত্বপূর্ণ। জুটি গড়ে খেলাও গুরুত্বপূর্ণ। আমি মনে করি, আমাদের ওপেনারদের মধ্যে কঠিন প্রতিযোগিতা আছে। আমি নিশ্চিত লিটন দাসও এই পজিশনে সুযোগ পাবেন।’
তবে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দলকে সতর্কতার পরামর্শ প্রিন্সের। বাংলাদেশের কাছে অস্ট্রেলিয়ার হার থেকে অনেক কিছু শিখেছে কিউইরা। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, সাম্প্রতিক অস্ট্রেলিয়া সিরিজ থেকে শিখে সব ধরণের বিশ্লেষণ ও পরিকল্পনা করবে নিউজিল্যান্ড। তারা এমন একটি দল যারা প্রতিটি ব্যাটসম্যান, বোলার এবং উইকেট নিয়ে সতর্কতার সাথে পরিকল্পনা করবে। নিজেদের সুবিধার্থে সব ধরণের তথ্য ব্যবহার করবে তারা।’
এনএস//