ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

ভূয়া ফেইসবুক আইডি খুলে প্রতারণায় স্বামী-স্ত্রী গ্রেফতার

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৫:২০ পিএম, ৩১ আগস্ট ২০২১ মঙ্গলবার

প্রবাসী ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ইমরান আহমদ এমপি’র এপিএস পরিচয়ে ভূয়া ফেইসবুক আইডি খুলে প্রতারণা ও অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে এক দম্পতিকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা সাইবার এন্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ।

গ্রেফতারকৃতরা হলো, আতিক হোসেন ওরফে জয় ও তার স্ত্রী মোসা. মলি আক্তার ওরফে শান্তা চৌধুরী।

সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাজশাহী মহানগরীর রাজপাড়ার ডাবতলা এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করে ডিবি সাইবার এন্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের সোশ্যাল মিডিয়া ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিম।

মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে ডিএমপি গোয়েন্দা কার্যালয়ে যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম ও ডিবি-উত্তর) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ সাংবাদিকদের এ খবর জানান।

ডিবির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার বলেন, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ইমরান আহমদের (এমপি) সহকারি একান্ত সচিব মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘শান্তা চৌধুরী’ ফেসবুক আইডি থেকে একটি পোস্ট দেখতে পান, ‘ধন্যবাদ জানাই প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ এমপিকে। আমাকে ২ বছরের জন্য এপিএস হিসেবে চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগ দেওয়ার জন্য’। 

এ পোস্টের বিষয়টি মন্ত্রীর দৃষ্টিগোচর হয়। প্রকৃত পক্ষে, শান্তা চৌধুরী নামের কাউকে মন্ত্রী চিনেন না এবং তার এপিএস হিসেবে নিয়োগও দেননি। এ আইডি হতে মন্ত্রীর এপিএস পরিচয় দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক মেসেঞ্জারের মাধ্যমে বিভিন্ন লোকজনের নিকট হতে চাকুরী দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন অংকের টাকা দাবি করে। এ ঘটনায় মন্ত্রীর সহকারি একান্ত সচিব মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামান বাদি হয়ে রমনা মডেল থানায় একটি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন।

তিনি আরও বলেন, মামলা তদন্তকালে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা সাইবার এন্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের সোশ্যাল মিডিয়া ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিমের টিম লিডার অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মনিরুল ইসলাম বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে রাজশাহী থেকে আতিক ও শান্তাকে গ্রেফতার করে।

তাদের নিকট থেকে উদ্ধারকৃত মোবাইল ফোন পর্যালোচনা ও জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা তথ্য প্রযুক্তিতে পারদর্শী। তারা প্রতারণার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন ফেইক ফেসবুক একাউন্ট খুলে নিজেদের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রীর এপিএস দাবি করে। চাকুরী দেওয়ার প্রলোভনে বিভিন্ন লোকজনের নিকট মোটা অংকের টাকা নেয়ার চেষ্টা করে। তাদের মোবাইলে অসংখ্য ফেইক ফেসবুক একাউন্ট পাওয়া যায়। এসব ফেইক আইডি দিয়ে তারা বিদেশ যেতে ইচ্ছুক আগ্রহী প্রার্থীদের টার্গেট করতো। এ ধরণের প্রতারণা করে তারা লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে গোয়েন্দা পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান।

এসি