যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৭৫ লাখ টিকা পেল বাংলাদেশ
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১০:১১ পিএম, ২ সেপ্টেম্বর ২০২১ বৃহস্পতিবার
ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল আর মিলারকে উদ্ধৃত করে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশে কোভিড-১৯ মোকাবিলায় বৃহত্তম দাতা দেশ হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। ওয়াশিংটন বাংলাদেশকে কেবল টিকাই অনুদান দেয়নি, সেই সঙ্গে ৯ কোটি ৬০ লাখ ডলারও সহায়তা দিয়েছে।
করোনাভাইরাস মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে পৌনে এক কোটি ডোজ টিকা পেয়েছে বাংলাদেশ। পাশাপাশি অনুদান হিসেবে ৯ কোটি ৬০ লাখ ডলার দিয়েছে ওয়াশিংটন।
টিকাগুলো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উদ্যোগে গড়ে তোলা প্ল্যাটফর্ম কোভ্যাক্সের মাধ্যমে আসলেও যুক্তরাষ্ট্র বলছে তারা এগুলো বাংলাদেশের জনগণের জন্য শুভেচ্ছা উপহার হিসেবে দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা টিকার মধ্যে ফাইজারের টিকা রয়েছে ১০ লাখ ডোজ এবং মাডার্নার টিকা ৬৫ লাখ ডোজ।
ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস থেকে বৃহস্পতিবার পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বুধবার বাংলাদেশে পাঠানো যুক্তরাষ্ট্রের উপহার হিসেবে ফাইজারের ১০ লাখ ডোজ টিকার বিষয়টিও উল্লেখ করা হয়। বলা হয়, এই চালান ইতিপূর্বে বাংলাদেশের জনগণের জন্য উপহার হিসেবে পাঠানো মডার্নার তৈরি ৬৫ লাখ ডোজ টিকার বাইরে।
ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল আর মিলারকে উদ্ধৃত করে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশে কোভিড-১৯ মোকাবিলায় বৃহত্তম দাতা দেশ হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। ওয়াশিংটন বাংলাদেশকে কেবল টিকাই অনুদান দেয়নি, সেই সঙ্গে ৯ কোটি ৬০ লাখ ডলারও সহায়তা দিয়েছে। ফাইজারের তৈরি ৫০ কোটি ডোজ টিকা ক্রয় ও বিশ্বব্যাপী অনুদান দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
রাষ্ট্রদূত মিলার বলেন, ‘আমরা আমেরিকার জনগণের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের জনগণের জন্য ফাইজারের তৈরি এই ১০ লাখ টিকা উপহার দিতে পেরে আনন্দিত এবং এই চালান ত্বরান্বিত করার জন্য কোভ্যাক্সের প্রতি কৃতজ্ঞ।’
দূতাবাস জানায়, বৈশ্বিক কোভিড-১৯ মোকাবিলা কার্যক্রমে নেতৃত্ব দিতে প্রেসিডেন্ট বাইডেন ও যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গীকারের অংশ হিসেবে ফাইজারের তৈরি ৫০ কোটি ডোজ টিকা অনুদানের অংশ হিসেবে বাংলাদেশকে এসব টিকা দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশকে করোনা মোকাবিলায় একক কোনো দেশ হিসেবে এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রই সবচেয়ে বেশি সহায়তা দিয়েছে।
বিশ্বব্যাপী কোভ্যাক্সের প্রচেষ্টার আওতায় যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যেই ২ বিলিয়ন ডলার সহায়তা করেছে। সেই সঙ্গে আরও ২ বিলিয়ন ডলার দেয়ার অঙ্গীকার করেছে। এর মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী করোনার টিকা গ্রহণের ন্যায়সংগত সুযোগ তৈরির প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের বৃহত্তম দাতা দেশে পরিণত হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আরও নিরাপদ ও কার্যকরভাবে টিকা প্রদান এবং বাংলাদেশের জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষার লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগের আওতায় হাজার হাজার স্বাস্থ্যসেবাকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবীকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।
ইউএসএআইডি, যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অফ ডিফেন্স, যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অফ স্টেট, যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের মাধ্যমে কোভিডসংক্রান্ত উন্নয়ন ও মানবিক সহায়তা হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র এ পর্যন্ত ৯ কোটি ৬০ লাখ ডলারেরও বেশি অনুদান দিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র বলছে, এই সহায়তার মাধ্যমে মানুষের জীবন বাঁচানো সহজ হয়েছে। কোভিড-১৯ আক্রান্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসা দেয়া সম্ভব হয়েছে, রোগ পরীক্ষার সক্ষমতা ও পরিবীক্ষণ জোরদার হয়েছে। আক্রান্তদের ব্যবস্থাপনা এবং সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ চর্চা জোরদার হয়েছে এবং সরবরাহব্যবস্থা ও দ্রব্যসামগ্রী ব্যবস্থাপনা উন্নত হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তার আওতায় সম্মুখসারির কর্মীদের সুরক্ষা এবং কোভিড-১৯ থেকে জনসাধারণের সুরক্ষাসহ এ বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিতেও জোর দেয়া হয়েছে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।
আরকে//