ঢাকা, সোমবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪,   পৌষ ৯ ১৪৩১

মোহিনী চৌধুরীর আজ জন্মদিন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৫:৪৪ পিএম, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২১ রবিবার

খ্যাতনামা বাঙালি কবি, গীতিকার ও চিত্র পরিচালক মোহিনী চৌধুরীর আজ রোববার জন্মদিন। ১৯২০ সালের ৫ সেপ্টেম্বর বর্তমান বাংলাদেশের গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়ায় তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তার অজস্র গান শ্রোতাদের ভেতর খুব জনপ্রিয় হয়েছিল। এখনও তার গানগুলি বাঙালির মুখে মুখে ফেরে।

‘মুক্তির মন্দির সোপানতলে কত প্রাণ হলো বলিদান’ এমন কালজয়ী গানের রচয়িতা মোহিনী চৌধুরী। এছাড়া ‘ভালোবাসা মোরে ভিখারি করেছে’ ‘আমি দুরন্ত বৈশাখী ঝড়’, তিনি বেঁচে আছেন ‘দিনদুনিয়ার মালিক’, ‘পৃথিবী আমারে চায়’-এর মতো জনপ্রিয় গানের মধ্যে।

মোহিনী চৌধুরী কলকাতার রিপন স্কুল (সুরেন্দ্রনাথ কলেজ) থেকে বিশেষ কৃতিত্বের সাথে ম্যাট্রিক পাশ করেন ও ওখান থেকেই আইএসসি পাশ করে বিএসসি-তে ভর্তি হন। গানের প্রতি নেশায় বিএসসি পরীক্ষা অসমাপ্ত রেখে গান লেখার সাথে যুক্ত হন। তিনি ১৯৪০ সালে কলকাতা জিপিওতে চাকরিতে যোগদান করেন। তবে মাত্র আট বছর ওই চাকরিতে ছিলেন।

কর্মজীবনের শুরু ১৯৪৩ খিষ্টাব্দ থেকে গ্রামোফোন রেডিও সিনেমার গীতিকার হিসেবে। মোহিনী চৌধুরীর প্রথম গানের রেকর্ড হলো 'রাজকুমারী ওলো, নয়নপাতা খোলো, সোনার টিয়া ডাকছে গাছে ওই বুঝি ভোর হলো'। কুসুম গোস্বামীর কণ্ঠ দিলেন কমল দাশগুপ্তর সুরে। শৈলজানন্দ মুখোপাধ্যায়ের 'অভিনয় নয়' ছায়াছবিতে প্রথম গান লেখার সুযোগ পেলে তার সুনাম ছড়িয়ে পড়ে। জিপিও'র চাকরিতে ইস্তফা দিয়ে সর্বক্ষণের জন্যে গানের জগতে মনোনিবেশ করেন।

রায়চৌধুরী, ঘুমিয়ে আছে গ্রাম, রংবেরঙ, সন্ধ্যাবেলার রূপকথা, একই গ্রামের ছেলে, ব্লাইন্ড লেন ইত্যাদি ছবিতে সহকারী চিত্রপরিচালনার কাজ করেন এবং গান লেখেন। তার পরিচালিত ও প্রযোজিত ছবি সাধনা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হলে তিনি বিজ্ঞানী ও সাংসদ মেঘনাদ সাহার অধীনে সংসদীয় সচিবের চাকরি করেন কিছুকাল। ১৯৫৪ সালে শিল্পপতি ডি. এন ভট্টাচার্যের একান্ত সচিব হিসেবে কাজ করতে থাকেন। পরে প্রাইভেটে বিএ পাশ করেন। গায়ক জগন্ময় মিত্র ও সুরকার কমল দাশগুপ্তের সঙ্গে মোহিনীবাবুর কথায় তার জনপ্রিয় গান- ভুলি নাই ভুলি নাই, আমি যে দুরন্ত বৈশাখী ঝড় ইত্যাদি। মোহিনী চৌধুরী ১৯৮৭ খিষ্টাব্দের ২১ মে মৃত্যুবরণ করেন।

এসি