সুরের টানে ঘর ছেড়েছিলেন যিনি (ভিডিও)
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০১:৩৩ পিএম, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ সোমবার
সুর সম্রাট ওস্তাদ আলাউদ্দীন খাঁ। যাঁর খ্যাতি ছিল বিশ্বজোড়া। নিত্যনতুন রাগ ও বাদ্যযন্ত্র বাজনায় তিনি ছিলেন সিদ্ধহস্ত। সুরের প্রেমে মাত্র ১০ বছর বয়েসে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। শেষমেষ সুরসম্রাট হয়েই অনন্তলোকে পাড়ি দিয়েছেন, ১৯৭২ সালে। কিন্তু তার আগে পৃথিবী দেখেছে তাঁর সুরের যাদু। এই যাদুকরেরই ৫০তম প্রয়াণ দিবস আজ।
ভারতের রামপুরার রাজ দরবারে এক সভাবাদকের শিষ্যত্ব গ্রহণ করে, দিনের পর দিন প্রতীক্ষায় থেকেছেন তরুণ আলাউদ্দীন, প্রাসাদের বাইরে অপেক্ষারত সেই তরুণই পরবর্তী সময়ে সুরের যাদুতে কাঁপিয়েছেন বিশ্ব। তিনি আর কেউ নন, ওস্তাদ আলাউদ্দীন খাঁ।
১৮৬২ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জন্মগ্রহন করেন এই সুর সম্রাট। শৈশব থেকেই সঙ্গীতের প্রতি মগ্ন আলাউদ্দীন পারিবারিক আবহে, বড় ভাই আফতাব উদ্দীনের কাছে তালিম নেন। বিদ্যালয়ে পাঠানো হলেও, তিনি সুরের প্রেমে বাড়ি ছাড়েন। শুরু করেন যাত্রাপালা। পরে কোলকাতায় নুরো গোপালের শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন। এরপর বিভিন্ন সময়ে বিখ্যাত ওস্তাদদের কাছে তালিম নিয়ে হয়ে উঠেন সঙ্গীত বিশারদ।
১৯১৮ সালে মাইহারের রাজার সভা সঙ্গীতজ্ঞ হিসাবে অধিষ্ঠিত হন। ১৯৩৫ সালে বিশ্ব ভ্রমণে বের হয়ে ইউরোপ, এশিয়া ও আফ্রিকায় শ্রোতাদের বিমোহিত করেন ওস্তাদ আলাউদ্দীন। ব্রিটিশ সরকার তাঁকে খাঁ সাহেব উপাধিতে ভূষিত করেন। এছাড়া ভারত-বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পদক ও সম্মাণনাও পান তিনি।
হেমন্ত, প্রভাতকেলি, হেম বেহাগ, মদন মঞ্জরি আলাউদ্দীনের অন্যতম শ্রেষ্ঠ রাগ। মাইহার রাজ্যে নিজ বাসভন মদিনা ভবনে ১৯৭২ সালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এই সুরের যাদুকর।
দেখুন ভিডিও :
এসবি/এসএ/