পাঞ্জশিরে পতাকা উড়ালো তালেবান
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১০:৩০ এএম, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২১ মঙ্গলবার | আপডেট: ১০:৩৩ এএম, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২১ মঙ্গলবার
আফগানিস্তানে নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকা সর্বশেষ প্রদেশ পাঞ্জশির দখলের লড়াইয়ে নিজেদের বিজয় ঘোষণা করেছে তালেবান। অনলাইনে একটি ভিডিও পোস্ট করেছে সেখানে দেখা যাচ্ছে তাদের যোদ্ধারা পাঞ্জশির শহরে তালেবানের পতাকা উত্তোলন করছে। এ খবর বিবিসি’র।
তবে বিদ্রোহী যোদ্ধারা দাবি করেছে যে, তারা এখনো গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতে অবস্থান নিয়ে রয়েছে এবং তাদের লড়াই অব্যাহত রয়েছে। তালেবানের বিরুদ্ধে সারাদেশে সবাইকে জেগে ওঠার জন্য আহ্বান জানিয়েছে তাদের নেতা।
সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করা একটি অডিও বার্তায় ন্যাশনাল রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট অফ আফগানিস্তান (এনআরএফ) জানায়, ‘আপনি যেখানেই থাকুন না কেন, দেশের ভেতরে অথবা বাইরে, আপনাদের সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছি দেশের মর্যাদা, স্বাধীনতা এবং সমৃদ্ধির জন্য জেগে উঠুন।’
তালেবানের দাবি নাকচ করে দিয়ে এনআরএফের মুখপাত্র আলি মাইসাম বিবিসিকে বলেছেন, ‘তালেবান পাঞ্জশির দখল করতে পারেনি’। তাদের টুইটার একাউন্টে একটি পোস্টে বলা হয়েছে, ‘ন্যায়বিচার এবং স্বাধীনতা না পাওয়া পর্যন্ত তালেবান এবং তাদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে লড়াই চলবে।’
তবে তালেবানের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ একটি বিবৃতিতে বলেছেন, ‘এই বিজয়ের মাধ্যমে আমাদের দেশকে পুরোপুরি কদর্য যুদ্ধ থেকে বের করে আনা হলো।’
বিবিসির সংবাদদাতা লিস ডুসেট বলছেন, পাঞ্জশির যদিও আফগানিস্তানের ছোট একটি প্রদেশ, কিন্তু এই এলাকার কিংবদন্তি রয়েছে। রুক্ষ পাহাড়ি এই এলাকা সোভিয়েতরা নিয়ন্ত্রণে নিতে পারেনি, তালেবানও তাদের আগের মেয়াদে ব্যর্থ হয়েছে।
লিস ডুসেট আরও বলেছেন, হয়তো তালেবান পাঞ্জশিরের গুরুত্বপূর্ণ আবাসিক এলাকাগুলো দখল করতে পারে, কিন্তু পাহাড়ি অনেক স্থান শুধু এখানকার বাসিন্দাদেরই চেনা। সেখানে হয়তো তারা বিদ্রোহী যোদ্ধাদের আশ্রয় দিচ্ছে। বিদ্রোহী নেতা আহমদ মাসুদ এবং তালেবান সমালোচক আমরুল্লাহ সালেহও এত সহজে হয়তো ছেড়ে দেবেন না।
তিন সপ্তাহ আগে সারাদেশের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে তালেবান। পশ্চিমা দেশগুলো সমর্থিত সরকারের পতন ঘটিয়ে ১৫ই আগস্ট রাজধানী কাবুল দখল করে নিয়েছে এই গ্রুপটি। এর ফলে আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন জোট বাহিনীর বিশ বছরের অভিযানের সমাপ্তি ঘটে।
এএইচ/