ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১

হাবিপ্রবিতে আইআরটি`র নতুন পরিচালক ড. হারুন

হাবিপ্রবি সংবাদদাতা:  

প্রকাশিত : ০৮:৫৮ পিএম, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২১ মঙ্গলবার

দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) ইনস্টিটিউট অব রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিংয়ের (আইআরটি) পরিচালক হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন প্যাথলজি অ্যান্ড প্যারাসাইটোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. এস এম হারুন-উর-রশীদ।

সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম কামরুজ্জামানের অনুমতিক্রমে ও বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা. মো. ফজলুল হক স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে এই তথ্য জানানো হয়।

অফিস আদেশে উল্লেখ করা হয়, এ বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালক (আইআরটি) পদে অধ্যাপক ড. মোঃ তারিকুল ইসলাম উদ্যানতত্ত্ব বিভাগ, কৃষি অনুষদ -হাবিপ্রবিকে গত ১৮-০১-২০১৯ ইং তারিখ হতে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিয়োগ দেয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইআরটি রেগুলেশন ২০০৫ এর ৪.২ এবং ৬.২ ধারা অনুযায়ী তার মেয়াদ দুই বছর অতিক্রান্ত হাওয়ায় তদস্থলে অধ্যাপক ড. এস, এম, হারুন-উর-রশীদ,প্যাথলজি অ্যান্ড প্যারাসাইটোলজি বিভাগ, ভেটেনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্স অনুষদ, হাবিপ্রবিকে তার নিজ দায়িত্বের অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে শর্তসাপেক্ষে পরিচালক (আইআরটি) পদে নিযুক্ত করা হলো।

শিক্ষাজীবনে তিনি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ থেকে কৃতিত্বের সাথে অনার্স(২য় বিভাগ) ও মাষ্টার্স (১ম বিভাগ) শেষ করেন এবং ইনষ্টিটিউট অব বায়োলজিক্যাল সায়েন্স, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করেন।

পরবর্তীতে কর্মজীবনের শুরতে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যাথোলোজি বিভাগে রিসার্চ ফেলো হিসাবে যোগ দেন, তারপর ২০০৪ সালে দিনাজপুর ভেটেরিনারী কলেজে সহকারী অধ্যাপক হিসাবে যোগ দেন এবং তারপর ২০০৮ সালে একই কলেজে সহযোগী অধ্যাপকে উন্নতি হন।

এরপর ২০১০ সালে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারী এন্ড এ্যানিমেল সায়েন্স অনুষদের প্যাথলজি এন্ড প্যারাসাইট বিভাবে সহকারী অধ্যাপক হিসাবে যোগ দেন। পরবর্তী ২০১২ সালে সহযোগী অধ্যাপক ও অধ্যাপকে উন্নতি হন।

এছাড়াও তিনি নিজ বিভাগের চেয়ারম্যান, ডিন, একাডেমিক কাউন্সিরের সদস্য, ২০০৮ সালে তাজ উদ্দীন আহমেদ আবাসিক হলের হল সুপার, ২০০৯ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, ২০১১ সালে হিসাব শাখার পরিচালক ও ২০১৭ সালে ছাত্রপরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন।

এ পর্যন্ত তার ৪০টির বেশি গবেষণা প্রবন্ধ দেশি বিদেশী জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়াও তার তত্ত্বাবধানে দেশি বিদেশী ৪৬ জন শিক্ষার্থী মাষ্টার্স শেষ করেছে এবং বর্তমানে ৯ জন মাষ্টার্স ও ১ জন পিএইচডি ডিগ্রী গ্রহণ করছে।

আইআরটির সদ্য সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ড. তারিকুল ইসলাম বলেন, 'আইআরটি রেগুলেশন আংশিক সংশোধনের মাধ্যমে আমি ইনস্টিটিউটের প্রাতিষ্ঠানিক ভিত্তিকে আরও মজবুত করার চেষ্টা করেছি। এছাড়াও গবেষণা প্রকল্প মূল্যায়নে স্ব-স্ব অনুষদীয় টেকনিক্যাল কমিটি গঠন, গবেষকদের প্রশিক্ষণ, গবেষণা প্রকল্পের অর্ধবার্ষিকী অগ্রগতির বিষয়ে সেমিনার আয়োজন করেছি। আমার সময়ে বেশ কিছু জাতীয় মানের গবেষণা হয়েছে। আমি চাই বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণায় দিন দিন এগিয়ে যাক সবার প্রচেষ্টায়'।

আইআরটি শাখার দায়িত্ব গ্রহণের ব্যাপারে অধ্যাপক ড. এস এম হারুন-উর-রশীদ বলেন, মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম কামরুজ্জামান বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদানের পর থেকেই তিনি এই বিশ্ববিদ্যালয়কে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার জন্য বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে পরিকল্পনা উপস্থাপন করেছেন এবং এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী সবাইকে নিয়ে তিনি চলতে চান। তারই ধারাবাহিকতায় তিনি আমাকে আইআরটি পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দান করেছেন।

আমি মনে করি বিশ্ববিদ্যালয় মানেই শিক্ষা ও গবেষণা। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে যে সকল গবেষণা কার্যক্রম চলমান আছে এর পাশাপাশি আগামী দিনে এই হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নতুন নতুন উদ্ভাবন নিয়ে ইতিমধ্যে উপাচার্য মহোদয়ের সাথে কথা বলেছি, তিনি মধ্যমেয়াদী ও দীর্ঘ মেয়াদী প্রকল্প গ্রহনের কথা বলেছেন, যে প্রকল্পের মাধ্যমে নতুন নতুন ভ্যারাইটিস উদ্ভাবন করে আমাদের গবেষণা কার্যক্রমকে সমৃদ্ধ করতে পারবো। এতে শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবে, পাশাপাশি সাধারণ জনগণের মাঝে নতুন প্রযুক্তি ছড়িয়ে তাদের আর্থসামাজিক উন্নয়নে কীভাবে ভূমিকা রাখতে পারি, সে বিষয়ে আমরা পরিকল্পনা নিচ্ছি। যার লক্ষ্যে আমরা খুব দ্রুতই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদ থেকে প্রকল্প আহবান করবো।

তিনি আরও বলেন, মাননীয় উপাচার্য মহোদয় নিজেও একজন গবেষণা অনুগামী মানুষ। তিনি যেহেতু আমাকে আরআরটির পরিচালক পদে নিযুক্ত করেছেন, সেজন্য তার প্রতি কৃতজ্ঞতা। মাননীয় উপাচার্য মহোদয়ের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা খাতকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাবো।

আরকে//