সিনহা হত্যা মামলা: শেষ দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু
কক্সবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ১১:২৪ এএম, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ বুধবার | আপডেট: ১১:২৬ এএম, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ বুধবার
ওসি প্রদীপ কুমারসহ আসামীদেরকে আদালতে নেয়া হচ্ছে। ছবি: একুশে টেলিভিশন
সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার দ্বিতীয় দফার চতুর্থ দিনে ৬ নম্বর সাক্ষী শহীদুল ইসলামকে দিয়ে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও কক্সবাজার জেলা দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদুল আলম জানান, বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টা জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালতে এ সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।
এর আগে আজ সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে কক্সবাজার জেলা কারাগার থেকে মামলার ১৫ আসামিকে প্রিজেন ভ্যান করে কড়া পুলিশ পাহারায় আদালতে আনা হয়।
পিপি ফরিদুল আলম বলেন, গত ২৩ থেকে ২৫ আগস্ট প্রথম দফায় সাক্ষ্যদানের জন্য ৮৩ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৫ জনকে আদালত নোটিশ দিয়েছিলেন। ওই তিনদিনে মামলার বাদী ও ২ নম্বর সাক্ষী জবানবন্দি প্রদান করেন। দ্বিতীয় দফায় এ পর্যন্ত ৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে।
আজ দ্বিতীয় দফার শেষ দিনে সিনহা হত্যার ঘটনাস্থলের নিকটবর্তী বায়তুল নূর জামে মসজিদের ইমাম শহীদুল ইসলামের জবানবন্দি গ্রহণের মধ্য দিয়ে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। আদালতে উপস্থিত হয়েছেন আরও দুই সাক্ষী।
গত বছর ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। এ ঘটনায় গত বছর ৫ আগস্ট সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও বাহারছড়া তদন্ত সাবেক ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ ৯ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলার তদন্ত ভার দেয়া হয় র্যাবকে।
ঘটনার ৬ দিন পর ওসি প্রদীপ ও পরিদর্শক লিয়াকতসহ ৭ পুলিশ সদস্য আত্মসমপর্ণ করেন। ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় একটি এবং রামু থানায় আরেকটি মামলা দায়ের করে।
পরে শামলাপুর চেকপোস্টে দায়িত্বরত আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ানের (এপিবিএন) ৩ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর টেকনাফ থানা পুলিশের সাবেক কনস্টেবল রুবেল শর্মাকে গ্রেপ্তার এবং সর্বশেষ গত ২৪ জুন আদালতে আত্মসমর্পণ করেন টেকনাফ থানার সাবেক এএসআই সাগর দেব।
গত বছর ১৩ ডিসেম্বর র্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়ানের তৎকালীন দায়িত্বরত সহকারি পুলিশ সুপার খাইরুল ইসলাম ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। গত ২৭ জুন আদালত ১৫ জন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এতে সাক্ষী করা হয় ৮৩ জনকে।
এএইচ/