ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

আসছে ভয়ঙ্কর সৌরঝড়

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:১১ এএম, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২১ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ১১:১৬ এএম, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২১ বৃহস্পতিবার

ভয়ঙ্কর সৌরঝড় (সোলার স্টর্ম) আসছে। যার ফলে ভেঙে পড়তে পারে গোটা বিশ্বের যাবতীয় ইন্টারনেট যোগাযোগ ব্যবস্থা। আর তা বেশ কয়েক সপ্তাহ বা কয়েক মাসও স্থায়ী হতে পারে। আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক একটি গবেষণা এই অশনিসঙ্কেত দিয়েছে।

গত মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান গবেষণা পত্রিকার অনলাইনে প্রকাশিত হয়েছে গবেষণাপত্রটি। এই ধরনের সৌরঝড়কে বিজ্ঞানের পরিভাষায় বলা হয়, ‘করোনাল মাস ইজেকশান (সিএমই)’। যা গোটা সৌরমণ্ডলের পক্ষেই হয়ে ওঠে অত্যন্ত বিপজ্জনক।

গবেষকরা জানিয়েছেন, এবার যে সৌরঝড় আসছে তা এর আগে হয়েছিল ১৮৫৯ আর ১৯২১ সালে। সে ক্ষেত্রে বলা যায়, ১০০ বছর পর ফের ভয়ঙ্কর সৌরঝড়ের মুখোমুখি হতে চলেছে পৃথিবী। ১৯২১ সালে ভয়ঙ্কর সৌরঝড়ে পৃথিবীকে ঘিরে থাকা বিশাল চৌম্বক ক্ষেত্রে বড় বড় ফাটল ধরেছিল। আর তার ফাঁক গলে ঢুকেছিল অত্যন্ত বিষাক্ত সৌরকণা আর মহাজাগতিক রশ্মি। 

গবেষকরা লিখেছেন, এমন ভয়ঙ্কর সৌরঝড় বা সিএমই’র পৃথিবীর উপর আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা প্রতি দশকে থাকে ১.৬ শতাংশ থেকে ১২ শতাংশ। এবার তেমনই একটি সিএমই’র ঝাপ্‌টা সইতে হতে পারে পৃথিবীকে। যার সম্ভাবনা খুব বেশি।

১৮৫৯ এবং ১৯২১ সালের মতো তীব্রতায় অতটা না হলেও ১৯৮৯ সালের মার্চে যে সিএমই ধেয়ে এসেছিল পৃথিবীর দিকে তার ঝাপ্‌টায় কানাডার গোটা কুইবেক প্রদেশে টানা নয় ঘণ্টা ‘ব্ল্যাক আউট’ হয়ে গিয়েছিল।

মূল গবেষক আরভিনের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সঙ্গীতা আবদু জ্যোতি বলেছেন, ‘যেটা সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় তা হল, আমরা অতিমারির জন্য যেমন আদৌ প্রস্তুত ছিলাম না এ ক্ষেত্রেও তেমনটাই ঘটার আশঙ্কা। কারণ, সূর্যের বায়ুমণ্ডলে কখন ভয়ঙ্কর সৌরঝড় উঠবে তার পূর্বাভাস দেওয়া সম্ভব নয় এখনও। তবে এটুকু বলা যায়, সেই ভয়ঙ্কর সৌরঝড়ের পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসতে অন্তত ১৩ ঘণ্টা সময় লাগবে।’

গবেষণাপত্রটিতে বলা হয়েছে, আধুনিক ইন্টারনেট যোগাযোগ ব্যবস্থার উপর এবারের সিএমই’র আঘাত কতটা ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে সে ব্যাপারে কোনও তথ্যাদি বিজ্ঞানীদের হাতে নেই। কারণ, এর আগে যখন (১৯২১) এমন ভয়ঙ্কর সিএমই পৃথিবীর উপর এসে আছড়ে পড়েছিল তখন পৃথিবীতে ইন্টারনেট ব্যবস্থাই গড়ে ওঠেনি।

সূত্র: আনন্দবাজার

এএইচ/