ইউটিউবের চেয়ে এগিয়ে টিকটক
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৩:৩৫ পিএম, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২১ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৩:৪০ পিএম, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২১ বৃহস্পতিবার
শর্ট ভিডিও মেকিং প্ল্যাটফর্ম টিকটকের জনপ্রিয়তা বেড়েই চলেছে। বিশ্বব্যাপী অনেক স্মার্টফোন ব্যবহারকারীই এখন ইউটিউবের চেয়ে বেশি সময় কাটাচ্ছেন টিকটকে।
যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্রে গত বছরেই ইউটিউবকে টপকে যায় টিকটক।
টিকটক অ্যাপে ব্যবহারকারীর গড় সময় কাটানোর হার বেশি হলেও সামষ্টিকভাবে ব্যবহারকারীদের সময় কাটানোর দিক থেকে ইউটিউব এখনো শীর্ষ স্থানটি ধরে রেখেছে।
অ্যাপের তথ্য বিশ্লেষণকারী প্রতিষ্ঠান অ্যাপ এনি’র এক গবেষণায় উঠে আসে, যুক্তরাষ্ট্রে গত বছরের আগস্টে ইউটিউবকে পেছনে ফেলে টিকটক। ২০২১ সালের জুন মাসের হিসাব অনুযায়ী, ব্যবহারকারীরা প্রতি মাসে টিকটকে ভিডিও দেখতে ২৪ ঘণ্টা ব্যয় করেন। অপরদিকে ইউটিউবে ব্যয় করেন ২২ ঘণ্টা ৪০ মিনিট।
যুক্তরাজ্যে টিকটক-ইউটিউবের মাঝে ব্যবধান আরও বেশি। গত বছরের মে মাসে ইউটিউবকে ছাড়িয়ে যায় টিকটক। বর্তমানে সেখানে ব্যবহারকারীরা মাসে ২৬ ঘণ্টা ব্যয় করেন টিকটক কনটেন্ট দেখতে। অপরদিকে ইউটিউব কনটেন্ট দেখতে তারা ব্যয় করেন ১৬ ঘণ্টারও কম সময়।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, প্রতি মাসে ইউটিউবের চেয়ে টিকটকে ভিডিও দেখতে এখন বেশি সময় ব্যয় করেন ব্যবহারকারীরা। দিন দিন টিকটকের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। ফলে ইউটিউবে প্রবেশ করছেন না অনেকে।
এই তথ্য শুধু অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের।অনেকের দাবি সব ধরনের স্মার্টফোন অন্তর্ভুক্ত করলেও একই রকম তথ্য আসবে। তবে কারও কারও দাবি, সব স্মার্টফোন অন্তর্ভুক্ত করলে হিসাব পাল্টে যেতে পারে।
২০২০ সালে সামাজিক, যোগাযোগ, ছবি, ভিডিও এবং বিনোদন অ্যাপের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ডাউনলোড হয়েছে টিকটক। ইউটিউবের সাথে লড়ে ‘ভোক্তা খরচের’ দিক থেকেও শীর্ষ স্থানটি দখলে নিয়েছে চীনের ভিডিও প্ল্যাটফর্মটি।
এমএম/