স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষা কার্যক্রম চালু করলো আইএসডি
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৫:৩৬ পিএম, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২১ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৯:৫৬ পিএম, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১ মঙ্গলবার
কোভিড-১৯ বৈশ্বিক মহামারি বাংলাদেশ সহ বিশ্বজুড়েই কে-টু-১২ (কিন্ডারগার্টেন থেকে দ্বাদশ শ্রেণী) শিক্ষা ব্যবস্থায় নানা প্রতিকূলতার তৈরি করেছে। শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে বসে সরাসরি শিক্ষাগ্রহণ দেড় বছরের বেশি সময় ধরে বন্ধ রয়েছে। তবে, এখন স্কুল খোলা শুরু করেছে। একবছর অনলাইনে সফলভাবে ক্লাস পরিচালনার পর, ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ঢাকাও (আইএসডি) স্বাস্থ্যবিধি ও সুরক্ষা নীতিমালা তৈরি করে সরাসরি উপস্থিতির ভিত্তিতে ক্লাস শুরু করলো।
এ নিয়ে আইএসডি’র পরিচালক থমাস ভ্যান ডার উইলেন বলেন, “করোনা ভাইরাসের বৈশ্বিক মহামারির কারণে দেশজুড়ে সরাসরি উপস্থিতির ভিত্তিতে স্কুল বন্ধ রাখতে হয়। এর ফলে উদ্ভূত পরিস্থিতির সাথে মানিয় নিতে আমাদের অবশ্যই স্কুল পরিচালনার ক্ষেত্রে জটিলতাগুলো কমিয়ে আনতে হবে। স্কুল কার্যক্রম চালু রাখার সংশ্লিষ্ট নির্দেশনা কঠোরভাবে মানার ক্ষেত্রে আমাদের সকল প্রচেষ্টা গ্রহণ করতে হবে বলে আমি মনে করি। আমাদের শিক্ষার্থীদের আবারও ক্যাম্পাসে আমন্ত্রণ জানাতে পেরে এবং পুররায় সরাসরি ক্লাস চালু করতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত।”
আইএসডি শিক্ষার্থীদের প্রতিদিন স্কুল প্রবেশকালে তাদের বাবা-মায়েদের স্বাক্ষরিত হেলথ চেক কার্ড আনতে হবে। প্রাথমিকভাবে, প্রতি ক্লাস সপ্তাহে দু’দিন অর্ধদিবস করে আইএসডি প্রাইমারি পর্যায়ে ক্লাস চালু করছে। সেকেন্ডারি পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা সপ্তাহে একদিন ক্লাস করবে। নবম থেকে দ্বাদশ গ্রেডের শিক্ষার্থীরা সারাদিন ক্লাস করবে এবং বাসা থেকে নিজেদের খাবার নিয়ে আসবে।
স্কুল প্রাঙ্গণ সর্বোচ্চ সুরক্ষিত রাখতে কর্তৃপক্ষ প্রতিসপ্তাহে একবার সকল কর্মীদের কোভিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করবে। এছাড়াও, জরুরি অবস্থার ক্ষেত্রে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্কুলে দু’টি আইসোলেশন রুম ও নির্দিষ্ট সুরক্ষা প্রোটোকল তৈরি করা হয়েছে। আপাতত আগে থেকে সাক্ষাৎকারের তারিখ নির্ধারণ ছাড়া বাবা-মা ও দর্শনার্থীরা স্কুল চলাকালীন ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারবেন না। থমাস বলেন, “আইএসডি আজকের দিনটি উদযাপন করছে এবং আমরা নিশ্চিত দেশের অনেক অভিভাবক, শিক্ষার্থী এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও একইভাবে দিনটিকে অভর্তনা জানাচ্ছে। আমরা সবাই একসাথে আমাদের শিক্ষার্থীদের নিরাপদে স্কুলে ফিরে আসা নিশ্চিত করতে পারি। আমরা সবাই জানি শিক্ষার্থী এবং আমাদের নিরাপদ রাখতে আমাদের কী করতে।”
আরকে//