ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

গুরুত্বপূর্ণ সড়কে ঝুঁকিপূর্ণ ব্রীজ

মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১২:১২ পিএম, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২১ শনিবার

মিরসরাই উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন সড়কের (খাদ্য গুদাম সড়ক) একমাত্র ব্রীজটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। ব্রীজের উপরের ছাদ ভেঙ্গে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া ব্রীজের গার্ডারের পলেস্তারা খসে পড়ে যাচ্ছে। ব্রীজের রেলিংও ভেঙ্গে গেছে। ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটি দিয়ে প্রতিদিন উপজেলা খাদ্য গুদামের গাড়িসহ বিভিন্ন যানবাহন যাতায়াত করছে।

জানা গেছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাথে সংযুক্ত মিরসরাই সদর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের উত্তর তালবাড়ীয়া গ্রামে অবস্থিত স্টেশন সড়কটি। সড়কটি দিয়ে রেলওয়ে স্টেশনে, উপজেলা খাদ্য গুদামে, মিরসরাই বিসিক শিল্প নগরীতে যাতায়াত করা হয়। এছাড়া উত্তর তালবাড়ীয়া গ্রামের প্রায় ৬ হাজার মানুষের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যমও এই সড়কটি। 

সড়কটির মাঝখানে স্বাধীনতা সংগ্রামের পূর্বে নির্মিত একমাত্র ব্রীজটি এখন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ব্রীজটির দৈর্ঘ্য ৫০ ফুট ও প্রস্থ ১৮ ফুট। ব্রীজের উপরের অংশ ভেঙ্গে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে গেছে। এছাড়া সেতুটির রেলিংও ভেঙ্গে গেছে। নীচের অংশের গার্ডারের পলেস্তারা খসে পড়ে রড বেরিয়ে আসছে। 

ঝুঁকিপূর্ণ এই সেতুটি দিয়ে প্রতিদিন খাদ্য গুদামের গাড়ীর পাশাপাশি বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করে থাকে। কিছুদিন পূর্বে সড়কটি সংস্কার করা হলেও ঝুঁকিপূর্ণ ব্রীজটি নির্মাণের কোন উদ্যোগ না নেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।

মিরসরাই সদর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আজহারুল হক চৌধুরী নওশা মিয়া বলেন, স্টেশন সড়কের সেতুটি পাকিস্তান আমলে নির্মাণ করা হয়। স্বাধীনতা যুদ্ধের পরবর্তীতে ব্রীজের উপরের অংশ ভেঙ্গে পুনরায় ছাদ দেওয়া হয়। এরপর ব্রীজটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে গেলেও আর নির্মাণ করা হয়নি।

মিরসরাই সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. এমরান উদ্দিন বলেন, স্টেশন সড়কের ঝুঁকিপূর্ণ ব্রীজটি পুনঃনির্মাণের জন্য উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার নিকট নাম দেওয়া হয়েছে। শীঘ্রই ব্রীজের টেন্ডার দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) সামছুন্নাহার স্বর্ণা বলেন, মিরসরাই স্টেশন সড়কটি দিয়ে উপজেলা খাদ্য গুদামের গাড়ি ঝুঁকি নিয়ে নিয়মিত যাতায়াত করছে। ব্রীজটি যেকোন সময় ভেঙ্গে পড়তে পারে। এতে করে খাদ্য গুদামের গাড়ি যাতায়াতে প্রতিবন্ধকতার পাশাপাশি খাদ্য সরবরাহেও বিঘ্ন ঘটবে। ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটির বিষয়ে  উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)কে অবহিত করা হয়েছে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) সাইফুল্লাহ মজুমদার বলেন, স্টেশন সড়কের ঝুঁকিপূর্ণ ব্রীজটি পুনঃনির্মাণের জন্য টেন্ডার তালিকায় নাম রাখা হয়েছে। গত ২৪ মার্চ থেকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে চলমান করোনাভাইরাসের মহামারীর কারণে নতুন করে টেন্ডার প্রক্রিয়া বন্ধ রাখা হয়েছে। প্রক্রিয়া শুরু হলে সেতুটির নাম দেওয়া হবে। 

এছাড়া সড়কটি যেহেতু খুবই গুরুত্বপূর্ণ তাই ব্রীজের কাজ করার আগে যানবাহন চলাচলের জন্য বিকল্প সড়ক নির্মাণ করতে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে অনুরোধ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

এএইচ/