ঢাকা, শনিবার   ০২ নভেম্বর ২০২৪,   কার্তিক ১৭ ১৪৩১

নানা কর্মসূচিতে হাবিপ্রবির ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন 

হাবিপ্রবি সংবাদদাতা :

প্রকাশিত : ০৪:১৯ পিএম, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২১ শনিবার

আজ হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) ২৩তম প্রতিষ্ঠা দিবস । ১৯৯৯ সালের ১১ সেপ্টেম্বর তৎকালীন ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপিত হয়। ২০০১ সালের ৮ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয় আইন (৩৫) ও ২০০২ সালের ৮ এপ্রিল প্রজ্ঞাপন জারি ও ভাইস চ্যান্সেলর নিয়োগের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু হয়। 

প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রতি বছর ১১ সেপ্টেম্বর ”বিশ্ববিদ্যালয় দিবস” হিসেবে পালিত হচ্ছে । এরই ধারাবাহিকতায়  করোনা মহামারীর এই প্রাক্কালে সীমিত পরিসরে  হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ২৩তম প্রতিষ্ঠা দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি পালনে বিভিন্ন কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকাল ৯ টায় প্রশাসনিক ভবনের সম্মুখে জাতীয় পতাকা ও হাবিপ্রবির পতাকা উত্তোলন করা হয়। এ সময় মুক্ত আকাশে শান্তির দূত পায়রা এবং বেলুন উড়িয়ে কর্মসূচির শুভ উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. কামরুজ্জামান । পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিআইপি কনফারেন্স কক্ষে আর্কইটেকচার এইচএসটিইউ  এক্সিবেশন উদ্বোধন করেন তিনি।

বিশ্ববিদ্যালয় দিবস ও জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে বেলা সাড়ে ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পুকুরে মাছের পোনা অবমুক্তকরণ করা হয়। এসময়  ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক  ড. ইমরান পারভেজ এর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক  ড. এম. কামরুজ্জামান সকলকে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় দিবস ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ (বিলম্বিত) উপলক্ষে, মাছের পোনা অবমুক্তকরণ করা হলো। আমাদের উত্তরাঞ্চলের বেশিরভাগ মানুষ শস্য নির্ভর।  এক্ষেত্রে মাছের চাষ ও উৎপাদন বৃদ্ধি করা গেলে এ অঞ্চলে একটি নতুন দিগন্তের সূচনা হতে পারে। আমি আশাকরি হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারবে।  ফিশারিজ অনুষদ ও আর্কিটেকচার ডিপার্টমেন্টের সমন্বয়ে এই পুকুরগুলো সংস্কার করে মাছ চাষ উপযোগি ও ওয়াকওয়ে তৈরি করা হবে। 

তিনি আরও বলেন,  একজন ভাইস চ্যান্সেলর হিসেবে শিক্ষা ও গবেষণা ক্ষেত্রে এ বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই আমার মূল লক্ষ্য। গবেষণা সুবিধা সম্প্রসারণ, মাঠ গবেষণা কার্যক্রম ও সেন্ট্রাল ল্যাবরেটরির যে কনসেপ্ট রয়েছে সেটিকে ধারণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা কার্যক্রম আরও ত্বরান্বিত করতে আমি কাজ করবো। এছাড়া শিক্ষার্থীদের সেশনজট নিরসনে কার্যকর ও যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।  বিশ্ববিদ্যালয়কে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা জন্য তিনি  শিক্ষক, কর্মকর্তা, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন। 

মাছের পোনা অবমুক্তকরণ অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড.বিধান চন্দ্র হালদার, ফিশারীজ অনুষদীয় ডিন অধ্যাপক ড.একেএম রুহুল আমিন প্রমুখ।  এসময় রেজিস্ট্রার, প্রক্টর, ছাত্র উপদেষ্টাগণ সহ বিভিন্ন অনুষদের ডিন, শাখা পরিচালকগণ উপস্থিত ছিলেন।

বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে বাদ জোহর কেন্দ্রীয় মসজিদে দোয়া ও সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় ভার্চুয়ালি জুম এপের মাধ্যমে “প্রতিষ্ঠা-প্রাপ্তি-প্রত্যাশা” শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে উপাচার্য অধ্যাপক ড.এম.কামরুজ্জামান এর সভাপতিত্বে  প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মোঃ মাহবুব হোসেন, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য অধ্যাপক  ড. মোঃ সাজ্জাদ হোসেন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড.বিধান চন্দ্র হালদার । সভায়  সূচনা বক্তব্য রাখবেন বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব এবং ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ড. ইমরান পারভেজ।

আরকে//