ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

দুটি সেতু বদলে দিতে পারে অর্ধলক্ষ মানুষের ভাগ্য

মিরসরাই সংবাদদাতা

প্রকাশিত : ০২:২৭ পিএম, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২১ রবিবার

চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার সাহেরখালী এবং বামনসুন্দর খালের ওপর বাঁশের সাঁকো থাকায় চরম ভোগান্তিতে স্থানীয় বাসিন্দারা। দুটি খালের ওপরেই সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন তারা।   

উপজেলার মায়ানী ও সাহেরখালী ইউনিয়ন ঘেঁষে চলে যাওয়া সাহেরখালী খালের দুই ধারে অন্তত ২০ হাজার মানুষের বাস। বিভিন্ন সময়ে যাদের প্রয়োজন পড়ে খাল পারাপারের। বিপত্তিটা সেখানেই, কারণ খাল পারাপারের একমাত্র উপায় একটি বাঁশের সাঁকো। দীর্ঘদিন ধরে একটি সেতুর দাবি জানিয়েও কোন সুফল পাননি বলে অভিযোগ করেছেন দুই ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী এই অঞ্চলের বাসিন্দারা।  

তারা বলছেন, প্রতিটি নির্বাচনের আগেই জনপ্রতিনিধিরা সেতু নির্মাণের আশ্বাস দিয়ে নিজের জন্য ভোট চেয়ে যান। তবে নির্বাচিত হওয়ার পর, কথা রাখেননি কেউ।

স্বাধীনতার পর থেকেই এই বাঁশের সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করছেন স্থানীয়রা। তার বলছেন, ঝুঁকি নিয়ে সাঁকো পারাপার করায় প্রতিদিন ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা। কখনও সাঁকো থেকে পড়ে গিয়ে আহত হচ্ছে শিশুরা, কখনও আবার মালামাল নিয়ে খালে পড়ছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।

বর্ষায় পানি বাড়লে আরও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে সাঁকোটি। এছাড়া বর্ষায় ইলিশ আহরণ এই অঞ্চলের মানুষের গুরুত্বপূর্ণ পেশা। এজন্য এসময় বিপাকে পড়তে হয় ইলিশ মাছ শিকারী জেলে এবং ব্যবসায়ীদের।

তারা বলছেন, মাছ ধরলেও সময়মত বাজারে নিতে পারেন না তারা। আর চিকন বাঁশের সাঁকো দিয়ে বেশি পরিমাণে মাছ পার করাও সম্ভব হয় না। এজন্য অনেক সময় মাছ পচেও যায়। 

এদিকে উপজেলার ১০নং মিঠানালা ইউনিয়নের পশ্চিম মলিয়াইশ গ্রামে বামনসুন্দর খালের ওপরে সাঁকোটি নিয়েও চরম দুর্ভোগে স্থানীয়রা। তারা বলছেন, অসুস্থ রোগী পারাপার থেকে শুরু করে দৈনন্দিন চলাচল, সব ক্ষেত্রেই বাধা হয়ে দাঁড়ায় বাশেঁর সাঁকো।  

মায়ানী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কবির আহম্মদ নিজামী বলেন, সাহেরখালী খালের ওপর দুই বছর আগে ব্রিজ নির্মাণের জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন হয়ে টেন্ডার পক্রিয়া পর্যন্ত গিয়েছিল। পরবর্তীতে আর্থিক সঙ্কট দেখিয়ে এই ব্রিজের বরাদ্দ এবং অনুমোদন বাতিল করা হয়। তবে আবারও প্রস্তাব করা হয়েছে, চলতি অর্থ বছরে অনুমোদন হবে বলেও আশা জানান তিনি।

এদিকে মিঠানালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম বলেন, তার এলাকাতেও একটি সেতু প্রয়োজন, এজন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন তিনি। 

এই দুটি সাঁকোর জায়গায় সেতু নির্মাণ হলে এলাকায় প্রায় ৫০ হাজার মানুষের ভাগ্য বদলে যাবে, বদলে যাবে এলাকার অর্থনীতির চিত্র, বলছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।

এনএস//