ঢাকা, সোমবার   ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪,   আশ্বিন ৭ ১৪৩১

কালভার্ট নয় যেন মরণ ফাঁদ !

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:১১ এএম, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১ মঙ্গলবার | আপডেট: ১২:১২ এএম, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১ মঙ্গলবার

দিনাজপুরের হিলিতে কালভার্টের ঢালাই ভেঙ্গে মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। বিকল্প কোন সড়ক না থাকায় সেই কালভার্টের উপর বাঁশের চাটাইয়ের উপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে হাজারো গ্রামবাসী। এতে করে যে কোন সময় ওই স্থানে ভ্যান রিক্সা পড়ে গিয়ে দুর্ঘটনার আশংকা করছেন স্থানীয়রা। 

হিলির বোয়ালদাড় ইউনিয়নের খাট্টাউছনা বাজার থেকে জাংগই গ্রামে যাওয়ার একমাত্র সড়ক এটি। খাটেচড়া গ্রামে বসবাসরত কয়েক'শ পরিবারের মানুষজনকে গ্রাম থেকে স্থানীয় হাটবাজারসহ উপজেলা সদরসহ বিভিন্নস্থানে যাওয়ার প্রধান সড়ক এটি। গ্রামবাসী ভাঙা কালভার্টের উপর বাঁশের চাটাই দিয়ে কোন রকম করে যাতায়াত করছে।

খাটেচড়া গ্রামের আব্দুল লতিফ ও ইসমাইল হোসেন জানান, আমাদের খাটেচড়া গ্রামের মানুষজনের যাতায়াতের একমাত্র রাস্তা এটি। এছাড়া গ্রাম থেকে বাহির হয়ে শহরে যাওয়ার আর কোন বিকল্প সড়ক নেই। তাই এই রাস্তা দিয়ে হাট-বাজারসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাজ করি। বিকল্প সড়ক না থাকায় বাধ্য হয়ে ওই ভাঙা কালভার্টের উপর দিয়ে প্রতিদিন মোটর সাইকেল, বাইসাইকেল, ভ্যান রিক্সা নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। এতে করে ওই পথ দিয়ে চলাচলকারীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। দিনের বেলা যাই হোক কোনরকম চলাফেরা করতে পারলেও রাতের বেলায় এই কালভার্টের উপর দিয়ে চলাচল করা অসম্ভব হয়ে উঠেছে। অনেকে ভাঙা অংশ দেখতে না পেয়ে ছোটবড় দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। এছাড়া অসুস্থ রোগী পরিবহনের জন্য আরো চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়। বর্ষার দিনে এই দুর্ভোগ আরও চরমে পৌছে যায়। 

বোয়ালদাড় ইউপি চেয়ারম্যান মেফতাহুল জান্নাত বলেন, আমার ইউনিয়নের খাট্টাউছনা বাজার থেকে খাটেচড়া গ্রামে যাওয়ার প্রধান সড়কের কালভার্টটি ভেঙে গেছে। বর্তমানে কোন বরাদ্দ না থাকায় আপাতত সেটি মেরামতের জন্য কোন কাজ করতে পারছি না। তবে বরাদ্দ আসলে সেখানে একটি নতুন কালভার্ট নির্মাণ করা হবে।  

হাকিমপুর উপজেলা চেয়ারম্যান হারুন উর রশিদ জানান, বোয়ালদাড় ইউনিয়নের খাটেচড়া গ্রামের কালভার্ট ভেঙে পড়ার বিষয়টি আমাকে অবহিত করেছে। ওই গ্রামের মানুষের চলাচলের প্রধান সড়ক এটি, কালভার্টটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ায় মানুষজনকে খুব দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। আমি বিষয়টি জানার পরে ইতোমধ্যেই উপজেলা প্রকৌশলীকে এডিপির অর্থায়ন থেকে নতুন করে কালভার্টটি নির্মাণের জন্য বলে দিয়েছি। আশা করছি খুব দ্রুতই সেখানে নতুন কালভার্ট নির্মানের কাজ শুরু হবে। এতে করে ওই গ্রামের মানুষের যে দুর্ভোগ সেটি লাঘব হবে।
কেআই//