রোনালদোর গোলের পরও হারলো ম্যানইউ
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১০:৫৭ এএম, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১ বুধবার
তুলনামূলক দুর্বল ও নবাগত দল ইয়াং বয়েজের কাছে হেরে গেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। শুরুতে রোনালদোর গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর ১০ জনের দলে পরিণত হওয়া ইংলিশ জায়ান্টরা শেষ পর্যন্ত হার নিয়ে মাঠ ছাড়ে।
মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) লিগের উদ্বোধনী দিন ঘরের মাঠে ‘এফ’ গ্রুপের ম্যাচটি ১-২ গোলে জিতেছে সুইজারল্যান্ডের দল ইয়াং বয়েজ। ইউনাইটেডের বিপক্ষে তিনবারের দেখায় এটাই প্রথম জয় ইয়াং বয়েজের।
ম্যাচজুড়েই আধিপত্য ছিলো সুইজারল্যান্ডের ক্লাব ইয়াং বয়েজের। পুরো ম্যাচে মাত্র দুটি শট নেয় ইউনাইটেড, তাও ম্যাচের ২৫ মিনিটের মধ্যে। এরপর শুধু ইয়াং বয়েজের আক্রমণই সামলাতে হয়েছে তাদের। স্বাগতিক দলটি ম্যাচে শট নিয়েছে ১৯টি, যার মধ্যে লক্ষ্যে ছিলো ৫টি।
এদিন, মাঠে নেমেই ইকের ক্যাসিয়াসের সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার রেকর্ড স্পর্শ করেন পর্তুগিজ তারকা রোনালদো। দুই জনেরই ম্যাচ সংখ্যা ১৭৭টি করে।
ম্যাচে ১৩তম মিনিটে প্রথম ভালো সুযোগেই দলকে এগিয়ে নেন রোনালদো। বাঁ দিক থেকে দারুণ এক ক্রস বাড়ান তার জাতীয় দল সতীর্থ ব্রুনো ফের্নান্দেস। অফসাইডের ফাঁদ এড়িয়ে ডি-বক্সে ঢুকে আট গজ দূর থেকে রোনালদোর শট গোলরক্ষকের দুই পায়ের ফাঁক দিয়ে জালে জড়ায়।
এই গোলের সুবাদে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সর্বোচ্চ ১৩৫টি গোলের রেকর্ড রোনালদোর। আর ৩০ বছর পূর্ণ হওয়ার পর ৬৮ ম্যাচে রোনালদো গোল করলেন ৬৩টি। প্রতিযোগিতাটির ইতিহাসে ৩০ বা এর বেশি বয়সে অন্য যেকোনো খেলোয়াড়ের চেয়ে যা ৩৫টি বেশি।
এদিকে, প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে দুটি আলাদা মৌসুমে আসরের প্রথম গোল করলেন রোনালদো। ২০০৯-১০ আসরে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে প্রথম গোলটি করেছিলেন তিনি। সেই সময় এফসি জুরিখের বিপক্ষে ৫-২ গোলে জয় পায় রিয়াল।
এ নিয়ে ৩৬টি দলের বিপক্ষে গোলের দেখা পেলেন রোনালদো। এর বেশি নেই আর কারও। ৩৬টি দলের বিপক্ষে গোল করেছেন বার্সেলোনা থেকে পিএসজিতে যাওয়া লিওনেল মেসিও।
২৪তম মিনিটে ২৫ গজ দূর থেকে আচমকা শট নেন ইয়াং বয়েজের ক্রিস্টিয়ান ফাসনাখট। ডান দিকে ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক দাভিদ দে হেয়া। পরক্ষণেই পাল্টা আক্রমণে সতীর্থের পাস ধরে ডি-বক্সে ঢুকে দুরূহ কোণ থেকে রোনালদোর নেওয়া শট ফেরান স্বাগতিক গোলরক্ষক।
৩৫তম মিনিটে বড় ধাক্কা খায় ইউনাইটেড। প্রতিপক্ষের মিডফিল্ডার ক্রিস্টোফার পেরেইরাকে ফাউল করে সরাসরি লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন ইংলিশ ডিফেন্ডার অ্যারন ওয়ান-বিসাকা।
বিরতি থেকে ফিরে এসে ৬৬তম মিনিটে সমতায় ফেরে ইয়াং বয়েজ। ডান দিক থেকে সতীর্থের বাড়ানো বলে কাছ থেকে গোলটি করেন ক্যামেরুনের উইঙ্গার এনগামালেও।
৭২তম মিনিটে রোনালদো ও ফের্নান্দেসকে তুলে নিয়ে জেসে লিনগার্ড ও নেমানিয়া মাতিচকে মাঠে নামান কোচ উলে গুনার সুলশার। সেই লিনগার্ডের মারাত্মক ভুলেই শেষ মুহূর্তে গোল খেয়ে বসে ইউনাইটেড।
কোন দলই আর গোলের দেখা না পাওয়ায় মনে হচ্ছিল ১-১ সমতায়ই শেষ হবে ম্যাচ। তখনই আসে চমক। নির্ধারিত সময় শেষে অতিরিক্ত সময়ের পঞ্চম মিনিটে গোলরক্ষককে ব্যাকপাস দিতে গিয়ে প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়ের পায়ে বল তুলে দেন লিনগার্ড।
সেই বল পেয়ে কোনো ভুল করেননি থিওসন সেবাচুর। ছুটে গিয়ে দে হেয়াকে পরাস্ত করেন তিনি। উল্লাসে ফেটে পড়ে ইয়াং বয়েজ।
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে তিনবারের দেখায় এটাই ইয়াং বয়েজের প্রথম জয়।
এএইচ/