ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

করোনায় চট্টগ্রামে নতুন আক্রান্ত ১১২

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০১:৫৭ পিএম, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ বৃহস্পতিবার

চট্টগ্রামে করোনায় সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ১১২ জন আক্রান্ত এবং ৮শ’ জন সুস্থ হয়েছেন। নতুন সংক্রমণের হার ৬ দশমিক ৩৯ শতাংশ। এ সময় করোনায় আক্রান্ত ২ রোগির মৃত্যু হয়। 

সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে জেলার করোনা পরিস্থিতি নিয়ে নিয়মিত হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ সব তথ্য পাওয়া যায়।

রিপোর্টে বলা হয়, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি, এন্টিজেন টেস্ট, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ও নগরীর দশটি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরিতে বুধবার চট্টগ্রামের ১ হাজার ৭৫৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন পজিটিভ ১১২ নমুনাবাহকের মধ্যে শহরের ৭৬ জন ও আট উপজেলার ৩৬ জন। জেলায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১ লাখ ১ হাজার ১৩১ জনে। এতে শহরের ৭৩ হাজার ২৯৪ ও গ্রামের ২৭ হাজার ৮৩৭ জন। উপজেলা পর্যায়ে আক্রান্তদের মধ্যে সর্বোচ্চ হাটহাজারীতে ১৪, রাউজানে ১০, আনোয়ারায় ৪, ফটিকছড়ি, বোয়ালখালী ও পটিয়ায় ২ জন করে এবং সীতাকুণ্ড ও লোহাগাড়ায় একজন করে রয়েছেন। 

চট্টগ্রামে বুধবার করোনায় শহরের দু’জন মারা যান। মৃতের সংখ্যা বেড়ে এখন ১ হাজার ২৭৯ জন হয়েছে। এতে শহরের ৭০৬ ও গ্রামের ৫৭৩ জন। এদিন আরোগ্যলাভ করেন নতুন ৮শ’ জন। মোট আরোগ্যলাভকারীর সংখ্যা ৮৪ হাজার ৬৬৪ জনে উন্নীত হয়েছে। এর মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন ১০ হাজার ৩৩০ এবং বাসায় থেকে চিকিৎসায় সুস্থ হন ৭৪ হাজার ৩৩৪ জন। হোম কোয়ারেন্টাইন ও আইসোলেশনে নতুন যুক্ত হন ১৭৬ জন এবং আইসোলেশন-মুক্তির ছাড়পত্র নেন ১২৩ জন। বর্তমানে হোম আইসোলেশনে রয়েছেন ১ হাজার ৪৩৭ জন।

ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে ৫৫১ জনের নমুনা পরীক্ষায় শহরের ১২ ও গ্রামের ৩ জন জীবাণুবাহক পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে ৩৪৬টি নমুনার মধ্যে শহরের ৪০ ও গ্রামের ৭টি আক্রান্ত শনাক্ত হয়। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১৮৩ জনের নমুনায় শহরের ৯ ও গ্রামের ১০ জনের শরীরে জীবাণুর উপস্থিতি মিলে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ৯৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হলে নগরীর ৩ ও গ্রামের ১৪টিতে ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। নমুনা সংগ্রহের বিভিন্ন কেন্দ্রে ১৯ জনের এন্টিজেন টেস্টে একজন জীবাণুবাহক বলে জানানো হয়। নগরীর বিশেষায়িত কভিড-১৯ চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ পরীক্ষিত ৫টি নমুনারই রেজাল্ট নেগেটিভ আসে। 

বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরির মধ্যে শেভরনে ৩৭৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হলে শহরের একটি, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৫৫ নমুনার মধ্যে শহরের একটি, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ২১টি নমুনায় গ্রামের একটি, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল ল্যাবে ১৮ নমুনা পরীক্ষায় শহরের একটি, এপিক হেলথ কেয়ারে ৭৩টি নমুনার মধ্যে গ্রামের একটিসহ ৯টিতে করোনার জীবাণু থাকার প্রমাণ মিলে। এদিন ল্যাব এইডে ৪টি এবং চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে পাঠানো ৪ নমুনার একটিতেও ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলেনি। 

ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে বিআইটিআইডি’তে ২ দশমিক ৭২ শতাংশ, চমেকে ১৩ দশমিক ৫৮, সিভাসু’তে ১০ দশমিক ৩৮, চবিতে ১৭ দশমিক ৮৯, এন্টিজেন টেস্টে ৫ দশমিক ২৬, শেভরনে ০ দশমিক ২৬, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ১ দশমিক ৮২, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ৪ দশমিক ৭৬, মেডিকেল সেন্টারে ৫ দশমিক ৫৫, এপিক হেলথ কেয়ারে ১২ দশমিক ৩৩ এবং আরটিআরএল, ল্যাব এইড ও কক্সবাজার মেডিকেল কলেজে ০ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়।
সূত্র : বাসস
এসএ/