ওয়ানডে অধিনায়কত্বও ছাড়তে হবে কোহলিকে!
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৬:০২ পিএম, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২১ শুক্রবার | আপডেট: ০৬:০৩ পিএম, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২১ শুক্রবার
বিরাট কোহলি
কয়েক ঘন্টা আগেই সবাইকে চমকে দিয়েই আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে ভারতীয় দলের অধিনায়কত্ব করবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন বিরাট কোহলি। সেক্ষেত্রে বিশ্বকাপের পর সাদা বলের ক্রিকেটে ভারতের সহ-অধিনায়ক রোহিত শর্মাই দলের দায়িত্ব সামলাবেন বলেই চলছে জোর জল্পনা।
তবে কোহলি-রোহিতের ‘ডুয়াল অধিনায়কত্ব’ নীতি ভারতীয় দলের জন্য একেবারেই লাভজনক হবে না বলে মত প্রকাশ করেছেন আকাশ চোপড়া। সাবেক এই ব্যাটসম্যানের মতে, টি-টোয়েন্টির মতো ওয়ানডেতেও অধিনায়কত্ব ছাড়তে হবে কোহলিকে!
আসলে বেশ কিছুদিন ধরেই আইসিসির ইভেন্টে ভারতের ট্রফি জয়ের ব্যর্থতার ফলে চাপ বাড়ছিল অধিনায়ক কোহলির ওপর। অনেকেই মনে করছিলেন, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপই ক্যাপ্টেন কোহলির শেষ সুযোগ হতে চলেছে। তবে তাঁর আগেই নিজে থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়েছেন কোহলি।
ক্রিকেট বিশ্লেষক আকাশ চোপড়ার মতে, ভারতীয় দলে দুই অধিনায়ক নীতি সফল হলেও যেহেতু কোহলি শুধুমাত্র টি-টোয়েন্টির অধিনায়কত্ব ছাড়ছেন, ওয়ানডের নয়। তাই এ সিদ্ধান্ত খুব একটা ফলদায়ক হবে না।
নিজের ইউটিউব চ্যানেলে আকাশ জানান, ‘পার্থক্যটা মূলত লাল বল ও সাদা বলের ক্রিকেটের মধ্যে হয়। জো রুট-ইয়ন মরগ্যান থেকে অ্যারন ফিঞ্চ-টিম পেইন, সাধারণত সাদা বল ও টেস্ট অধিনায়ক আলাদা আলাদা হওয়ার চিত্র দেখা যায়। অধিনায়কের দায়িত্ব ভাগ করে নেয়ায় উপকার তো হয়ই, তবে লাল বলের ক্রিকেটের পাশপাশি সাদা বলের একটি ফরম্যাটে দায়িত্বে থেকে অপর ফরম্যাট থেকে সরে দাঁড়ানো, আমার মনে হয় না সেটা খুব একটা লাভজনক হবে বলে।’
নিজের এমন মন্তব্যের পিছনে যুক্তি দিতে গিয়ে আকাশ চোপড়া বলেন, সাদা বলের ক্রিকেটের দুই ফরম্যাটেই প্রায় একই মানসিকতা নিয়ে দল মাঠে নামে এবং প্রায় একই ক্রিকেটারই দুই ফরম্যাটে খেলে থাকেন। তাই প্রায় সমার্থক দুই ফরম্যাটে দুই ভিন্ন অধিনায়কের ভিন্ন মানসিকতা সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। সেই জন্যই তিনি ওয়ানডে ক্রিকেটেও ক্যাপ্টেন কোহলির ভবিষ্যৎ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন।
সাবেক এই ভারতীয় ব্যাটসম্যানের দাবি, ‘কোনো দলের ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের মধ্যে খুব বেশি পার্থক্য থাকে না। টি-টোয়েন্টি যেমন খেলা হয়, ওয়ানডেতে সেই ক্রিকেটটাই আরেকটু বেশিক্ষণ ধরে খেলার সুযোগ থাকে। ভারতীয় দলের দিকে তাকালে দেখা যাবে, দুই ফরম্যাটেই প্রায় সাত থেকে নয় জন কমন ক্রিকেটার খেলে থাকেন। সেক্ষেত্রে খুব একটা পরিবর্তন তো নজরে পড়ে না। যদি এমনটাই হয়, তাহলে দীর্ঘমেয়াদের ভিত্তিতে আমি বিরাট কোহলিকে ভারতের ওয়ানডে অধিনায়কের ভূমিকাতেও দেখতে পাচ্ছি না।’ সূত্র- হিন্দুস্তান টাইমস।
এনএস//