ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

একই পরিবারের ৪ জনের আত্মহত্যা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৬:৪১ পিএম, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ শনিবার | আপডেট: ০৯:২৪ পিএম, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ শনিবার

আত্মহত্যা করেছেন একই পরিবারের চারজন। ঘরের সিলিংয়ে ঝুলছে তাদের দেহ। আর তার মাঝেই অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে আছে দু’বছর বয়সী এক শিশু। উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তাকে। তবে সম্ভবত ক্ষুধার জ্বালা সইতে না পেরে মারা গেছে ৯ মাস বয়সী দুধের শিশুটি।

একেবারে গায়ে কাঁটা দিয়ে ওঠা ঘটনা। ঘটনার পাঁচ দিন পর শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাতে ভারতের ব্যাঙ্গালোরের একটি বাড়ি থেকে একের পর এক ৫টি দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। 

তবে দু’বছর বয়সী অপর এক শিশুকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশের ধারণা, চারজনই আত্মহত্যা করেছেন। তবে পোস্ট মর্টেম রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত নিশ্চিত করে কিছু বলতে চায়নি তারা।

পুলিশের দেয়া তথ্যমতে, মৃতরা হলো- ভারতী (৫১), তার দুই মেয়ে সিঞ্চনা (৩৪) ও সিন্ধুরাণী (৩৪), তাঁর ছেলে মধুসাগর (২৫) ও ৯ মাসের শিশু কন্যা। পচন ধরা অবস্থায় দেহগুলো উদ্ধার করা হয়েছে। 

পুলিশের দাবি, সম্ভবত পাঁচদিন আগেই তাদের মৃত্যু হয়েছিল। বাড়ির একটি হলঘর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ভারতীর দেহ। দুই মেয়ের দেহ ঝুলছিল একতলার ঘরে। ওখানেই নয় মাসের শিশুটি মৃত অবস্থায় পড়েছিল। মধুসাগরের দেহ যেখানে ঝুলছিল সেখানেই অচৈতন্য অবস্থায় শুয়েছিল দু’বছর বয়সী ওই শিশু কন্যাটি। তবে কোনও সুইসাইড নোট পাওয়া যায়নি। ভারতীর স্বামী এইচ শঙ্কর ফিরে আসার পরই বিষয়টি জানাজানি হয়।

এসিপি (পশ্চিম) সৌমেন্দু মুখোপাধ্যায় বলেন, শঙ্কর এখন শোকাহত অবস্থায়। তাকে জিজ্ঞাসা করলেই অনেকটা পরিষ্কার হবে বিষয়টি।

তবে পুলিশ সূত্রে খবর, শঙ্কর জানিয়েছেন, তাঁর একটি মেয়ে শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে তার সঙ্গে থাকছিল। বিষয়টি তিনি মানতে পারেননি। এ নিয়েই বাড়িতে অশান্তি হতো। এর মাঝেই গত ১২ সেপ্টেম্বর অশান্তি করে বাড়ি ছেড়়ে চলে গিয়েছিলেন শঙ্কর। ফোনও ধরেননি। আর ফেরার পর দেখেন এই ভয়াবহ কাণ্ড। সূত্র- হিন্দুস্তান টাইমস।

এনএস//