ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

আমেরিকা-অস্ট্রেলিয়া থেকে রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার করল ফ্রান্স

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:৫৮ পিএম, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ শনিবার

আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসকারী রাষ্ট্রদূতদের ডেকে পাঠাল ফ্রান্স। সাবমেরিনের চুক্তি সংক্রান্ত জটিলতার জেরে তাঁদের কার্যত প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে বলেই জানা গেছে। তবে কূটনৈতিক মহলের ধারণা, সহযোগী শক্তির প্রতি ফ্রান্স যে বেজায় চটেছে- এটাই তার বহিঃপ্রকাশ। 

দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী লে ড্রিয়ান শনিবার এক লিখিত বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ‘দুজন ফরাসি রাষ্ট্রদূতকেই ডেকে পাঠানো হয়েছে। ১৫ সেপ্টেম্বর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়া যে ব্যতিক্রমী ঘোষণা দিয়েছিল, তার প্রেক্ষিতেই রাষ্ট্রদূতদের প্রত্যাহার করে নেয়া হচ্ছে। ২০১৬ সাল থেকে সাবমেরিন প্রকল্প নিয়ে অস্ট্রেলিয়া ও ফ্রান্স কাজ করে যাচ্ছে। সেটা আচমকাই বাতিল করা হয়েছে। সহযোগী শক্তির কাছ থেকে এই ব্যবহার অপ্রত্যাশিত।’

জানা গেছে, ফান্সের কাছ থেকে ডুবোজাহাজ কেনার কথা ছিল অস্ট্রেলিয়ার। কিন্তু চলতি সপ্তাহের গোড়াতেই আমেরিকা থেকে আধুনিক পরমাণু শক্তিচালিত ডুবোজাহাজ কেনার সিদ্ধান্ত নেয় দেশটি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ও অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনের ভার্চুয়াল বৈঠকের সময়েই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সম্ভাব্য চীনা আগ্রাসনের মোকাবেলায় অস্ট্রেলিয়াকে ওই ডুবোজাহাজ বিক্রির সিদ্ধান্তের কথা জানায় যুক্তরাষ্ট্র। আর এই বিষয়টিই ক্ষুব্ধ করেছে ফ্রান্সকে।

আর এরই জেরে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে সাবমেরিন সরবরাহের চুক্তিটিও বাতিল হয়ে যাচ্ছে। যার ফলে বিপুল অঙ্কের আর্থিক ক্ষতি হতে পারে ফ্রান্সের। একইসঙ্গে বিষয়টি নিয়ে অস্ট্রেলিয়া বড় ভুল করেছে বলেও মনে করছেন বিশ্লেষক মহল।

এদিকে এই দুই দেশ থেকে রাষ্ট্রদূতদের তুলে নেয়ার ঘটনায় আন্তর্জাতিক মহলে বেশ শোরগোল পড়ে গেছে। তবে লে ড্রিয়ান সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ‘ইউরোপে ইন্দো প্যাসিফিক অঞ্চলে এই যে সহযোগী শক্তি, পারস্পরিক বোঝাপড়া, এবার সবকিছুতেই প্রভাব পড়তে পারে।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘‘ওই দুই দেশের থেকে অনভিপ্রেত ব্যবহার পাওয়ার ফলেই এই সিদ্ধান্ত নিতে আমরা বাধ্য হয়েছি।’’

তবে তাৎপর্যপূর্ণভাবে এই গোটা বিতর্কে ইতিমধ্যেই ফ্রান্সের পাশে দাঁড়িয়েছে চীন। সূত্র- হিন্দুস্তান টাইমস।

এনএস//