৩০ সেপ্টেম্বরের আগে খুলছে না রাবির হল
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৫:৩৭ পিএম, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১ রবিবার
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভর্তি পরীক্ষা শুরু হচ্ছে আগামী ৪ অক্টোবর থেকে। ৩ দিনব্যাপী এই ভর্তি পরীক্ষায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলো খোলা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
রোববার দুপুরে গণমাধ্যমকর্মীদের এ তথ্য জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার।
ভর্তি পরীক্ষার সময় ভর্তিচ্ছুদের হলে থাকার বিষয়ে উপাচার্য বলেন, 'ওরা তো আবেগের জায়গা থেকে বলবেই, এখন আমাদের যে সকল শিক্ষার্থী পড়ছে তাদের প্রায়োরিটি দিচ্ছি। আমাদের খারাপ লাগছে যে আমরা ভর্তি পরীক্ষা সময় হল খুলতে পারছি না একটা জিনিস মাথায় রাখতে হবে অন্য বারের চেয়ে এবারের প্রেক্ষাপট আলাদা।
অধ্যাপক গোলাম সাব্বির বলেন, দেশ এখনও অস্বাভাবিক পর্যায়ে আছে। করোনা অতিমারির কারণে আমাদের সময়ে সময়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সাথে বসে যৌক্তিক সিদ্ধান্ত নিচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আমরা এসব নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। তাই আমরা দ্রুত সময়ের মাঝে হল খুলতে পারছি না।
ভর্তি পরীক্ষার সময় ভর্তিচ্ছুদের থাকা নিয়ে মেস মালিকদের সাথে বসে কোন পদক্ষেপ নিয়েছে কি না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, শনিবার আমরা শহর এবং ক্যাম্পাস সংলগ্ন মেস মালিকদের সাথে কথা বলেছি। তারা ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসা শিক্ষার্থীদের সুযোগ-সুবিধার কথা বলেছে। তবে এটা লিখিত চুক্তি না। আগামী শুক্রবার আমাদের ভর্তি পরীক্ষা নিয়েই মেয়র মহোদয় একটা সভা আয়োজন করবেন। সেখানে নিরাপত্তা সংস্থার সব প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন।
হল না খোলার যৌক্তিক কারণ দেখিয়ে উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, আমরা ২৮ সেপ্টেম্বর আমরা বুঝতে পারবো কত শতাংশ শিক্ষার্থী টিকা নিয়েছে। এখনও যে প্রস্তুতিগুলো আছে সম্পন্ন হয়নি। আগামী একাডেমিক কাউন্সিলে সব সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
কত শতাংশ শিক্ষক-শিক্ষার্থী কর্মকর্তা টিকা আওতায় এসেছ এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমাদের ২৯ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী, তার মধ্যে মাত্র ১৫ হাজার শিক্ষার্থী তথ্য দিয়েছে। তবে ৩ হাজার এখনো ভ্যাকসিন পায়নি। মাত্র ১২হাজার শিক্ষার্থী টিকা পেয়েছে এটা আশাব্যাঞ্জক নয়।
আমরা ইতিমধ্যে প্রত্যেক ডিপার্টমেন্টের ক্লাস রিপ্রেজেনটেটিভকে (সিআর) জানিয়ে দিয়েছে তথ্য হালনাগাদ করতে। তাছাড়া শিক্ষক কর্মকর্তা কর্মচারীদের অলমোস্ট ৮০ শতাংশ টিকা পেয়ে গেছে এবং ৭৫ শতাংশ দুটো ডোজ টিকা পেয়ে গেছে। শিক্ষার্থীরা যেনও অন্তত একটি ডোজ নিয়ে ক্যাম্পাসে আসে।
তিনি আরও বলেন, আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করছি সুরক্ষা নিশ্চিত করে যেনও হল খুলতে পারি। শিক্ষার্থীদের যত ক্যাম্পাসে আসার উদ্যোগ ততটা টিকা নেয়ার উদ্যোগ দেখিনা।
আপনারা ইতিমধ্যে জানেন, সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ৭০-৮০ শতাংশ ফাস্ট ডোজ না নেয় তাহলে আবার বিবেচনা করবে। সে কারণে ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত লিমিট করে দিয়েছে। আগামী ১০ দিনের মাঝে কত হারে শিক্ষার্থীরা টিকা নিয়েছে এবং সে তথ্যগুলো আমরা নিচ্ছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের খোলা নিয়ে একাডেমি কাউন্সিল হয়, ৩০ সেপ্টেম্বর একাডেমিক কাউন্সিল মিটিং দিয়েছি সেখানেই সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত জানাতে পারব।
কেআই//