গবেষকের দৃষ্টিতে ইলিশ আকালের কারণ
মাহমুদ হাসান
প্রকাশিত : ০১:৫৫ পিএম, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২১ সোমবার | আপডেট: ১১:৪২ এএম, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২১ মঙ্গলবার
চলতি বছর ভরা মৌসুমে পর্যাপ্ত ইলিশ পাওয়া যাচ্ছেনা। আর যা পাওয়া যাচ্ছে তাদের গড় আকৃতি ও ওজন কম। তাছাড়া অপরিপক্ক দুই থেকে তিনশ’ গ্রামের ছোট ইলিশের পেটে ডিম। গবেষকরা বলছেন, জলবায়ু পরির্বতন, নদী দূষণ ছাড়াও নিষিদ্ধ জাল ব্যবহার করে ইলিশের প্রজনন ক্ষেত্রগুলো নষ্ট করা হচ্ছে। এখনই ব্যবস্থা না নিলে ঝুঁকির মুখে পড়বে ইলিশ।
মাছের রাজা ইলিশ। আর এই মাছ রপ্তানী করে আসে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা। আরোহণের উপযুক্ত সময়ে এবার দক্ষিণাঞ্চলে আকাল পড়েছে ইলিশের।
গবেষকরা বলছেন, ইলিশের জন্য মোহনা এখন আর নিরাপদ নয়। নাব্যতা সংকট, নিষিদ্ধ জালের অধিক ব্যবহার এবং অতি আহরণে ইলিশের উৎপাদন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
চাঁদপুর মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রধান গবেষক ড. আনিসুর রহমান বলেন, ‘নাব্যতা সংকটের বিষয়টিই প্রধান, তার উপর ক্ষেত্রে বিশেষে অনেক জায়গায় দূষণও আছে। এই ধরনের কারণে তারা এখনও প্রধান নদনদীতে ওইভাবে আসছে না অর্থাৎ খুব আসছে। যেটার শঙ্কার কারণ রয়েছে।’
গবেষকদের মতে, ইলিশ আহরণ পরিকল্পিত বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়ার মধ্যে আনতে না পারলে দেশে এ সম্পদ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই ইলিশসহ মৎস্য খাতে জরুরি ভিত্তিতে টেকসই ব্যবস্থাপনার তাগিদ দিলেন তারা। বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবকে বিবেচনায় নিয়ে ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমের সুরক্ষা নিশ্চিত করার কথা।
ড. আনিসুর রহমান আরও বলেন, ‘মেইন স্ট্রিম ঠিক রাখা, নদীর স্রোত ঠিক রাখা অর্থাৎ সেখানে ইলিশের অভিপ্রায়ণশীল পথ রাখা। তাতে শুধু ইলিশেরই উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে না অন্যান্য মাছের উৎপাদনও বৃদ্ধি পাবে।’
অপরিপক্ক ইলিশের পেটে ডিম পাওয়ার বিষটি অস্বাভাবিক। এটি নিয়ে গবেষণাও চালাচ্ছেন গবেষকরা।
মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রধান গবেষক বলেন, ‘ছোট ইলিশের পেটে ডিম দেখা যাচ্ছে, এটা যদি অস্বাভাবিক না হয় তাহলে হয়তো ব্যবস্থাপনাকে আরেকভাবে সাজাতে হতে পারে।’
আজকে জাটকাই আগামী দিনের বড় ইলিশ। এই সম্পদ রক্ষায় ছয়টি অভয়াশ্রম গড়ে তোলা হয়েছে। আর প্রজননের দুটি মৌসুমে মাছ ধরা থেকে বিরত থাকলেই এই রুপালি সম্পদে ভরপুর থাকবে দেশ।
ভিডিও-
এএইচ/