রাশিয়ায় সরাসরি পণ্য রপ্তানিতে সহযোগিতা চাইলেন বাণিজ্যমন্ত্রী
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৬:০৬ পিএম, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২১ সোমবার
রাশিয়ায় বাংলাদেশের তৈরী পোশাকসহ অন্যান্য পণ্য সরাসরি রপ্তানিতে সেদেশের সরকারের আন্তরিক সহযোগিতা চেয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেন, রাশিয়ার বাজারে বাংলাদেশের তৈরী পোশাকসহ বিভিন্ন পণ্যের বিপুল চাহিদা রয়েছে। কিন্তু নানা জটিলতার কারনে অন্য দেশের মাধ্যমে সেখানে পোশাক রপ্তানি করতে হচ্ছে। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে সেসব জটিলতা চিহ্নিত করা হয়েছে এবং সমাধানের চেষ্টা চলছে।
মন্ত্রী মনে করেন এসব সমস্যার সমাধান হলে রাশিয়ার বাজারে বিপুল পরিমান বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানি করা সম্ভব হবে। তবে এর জন্য সরাসরি পণ্য রপ্তানিতে রাশিয়ান সরকারের আন্তরিক সহযোগিতা প্রয়োজন।
টিপু মুনশি সোমবার সচিবালয়ে নিজ অফিসকক্ষে বাংলাদেশে নবনিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার ভিকেনতেভিচ মাস্তিতেিস্কর সাথে মতবিনিময়ের সময় এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী আরও বলেন, রাশিয়া বাংলাদেশের ঘনিষ্ট বন্ধুরাষ্ট্র। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় রাশিয়া বাংলাদেশের পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে, এজন্য রাশিয়ার প্রতি কৃতজ্ঞ। রাশিয়ার সাথে বাণিজ্য বৃদ্ধির সুযোগ থাকা স্বত্ত্বেও ব্যাংকিং চ্যানেলে লেনদেন এবং কিছু শুল্ক জটিলতার কারনে বাণিজ্য সম্প্রসারণ করা সম্ভব হচ্ছে না।
এসময় রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার ভিকেনতেভিচ মাস্তিতস্কি বলেন, বাংলাদেশকে রাশিয়া বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে থাকে। বাংলাদেশের সাথে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি করতে আগ্রহী রাশিয়া। বাংলাদেশী পণ্যের অনেক চাহিদা রয়েছে রাশিয়ায়। বিদ্যমান বাণিজ্য বাঁধা দূর হলে উভয় দেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়বে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি জানান, রাশিয়া সরকার চলমান সমস্যাগুলো দূর করতে আন্তরিক এবং বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগি হতে চাই।
টিপু মুনশি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ এখন বড় বড় উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। উন্নত মানের পণ্য প্রতিযোগিতামূলক মূল্য সরবরাহ করতে সক্ষম। তিনি বলেন, বিশ^ব্যাপী বাংলাদেশের তৈরী পণ্যের চাহিদা বাড়ছে। রাশিয়ার সহযোগিতায় বাংলাদেশ রাশিয়াসহ ইউরেশিয়ান ইকোনমিক ইউনিয়ন ও সিআইএসভুক্ত অন্যান্য দেশে রপ্তানি বৃদ্ধি করতে আগ্রহী।
উল্লেখ্য, গত ২০২০-২০২১ অর্থবছরে বাংলাদেশ ৬৬৫ দশমিক ৩১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রাশিয়ায় রপ্তানি করেছে, একই সময়ে আমদানি করেছে ৪৬৬ দশমিক ৭০ মিলিয়ন ডলারের পণ্য।
এ সময় বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ, অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) মো. হাফিজুর রহমান,অতিরিক্ত সচিব(এফটিএ) নূর মো. মাহবুবুল হকসহ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র কমকর্তবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আরকে//