ভোটকেন্দ্রে পরাজিত প্রার্থীর হামলা, আহত ৪ পুলিশ
নোয়াখালী প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ০৯:১৮ এএম, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২১ মঙ্গলবার
হাসপাতালে আহত পুলিশ সদস্যরা। ছবি: একুশে টেলিভিশন
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার সময় নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ভোটকেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে পরাজিত এক মেম্বার প্রার্থী ও তার সমর্থকরা। এতে আহত হয়েছেন চার পুলিশ ও দুই আনসার সদস্য। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৭ রাউন্ড শর্টগানের গুলি ছুঁড়ে পুলিশ।
সোমবার রাত পৌনে ৮টার দিকে উপজেলার চরওয়াপদা ইউনিয়নের দারুল উলুম কাওমী মাদ্রাসা ও এতিমখানা কেন্দ্রে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
আহত পুলিশ সদস্যরা হচ্ছেন, কুমিল্লা পুলিশ লাইন্সে কর্মরত কনস্টেবল মো. তারেক, শাহাদাত হোসেন, উক্য মারমা, রায়হান রাজা এবং আনসার সদস্য ফারুক হোসেন ও আলাউদ্দিন। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এ কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ভোট গননা শেষে ফলাফল ঘোষণা শুরু করেন কেন্দ্রের দায়িত্বরত প্রিজাইডিং অফিসার মাহবুবুল ইসলাম। ফলাফল ঘোষণার পর কেন্দ্রের বাইরে উত্তেজনা দেখা দেয়। এর কিছুক্ষণ পর উত্তেজিত লোকজন কেন্দ্রের দিকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে।
ওই কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশের সহকারি উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মাকসুদুর রহমান জানান, ফলাফল ঘোষণার পর ২নং ওয়ার্ডের টিউবওয়েল প্রতীকের প্রার্থী সোহরাব হোসেন ফলাফল ভুল হয়েছে বলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেন। এর কিছুক্ষণ পর আমাদের লক্ষ্য করে লোকজন নিয়ে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করেন। এতে আমাদের কয়েকজন পুলিশ ও আনসার সদস্যরা আহত হয়েছেন।
এসময় আত্মরক্ষার্থে ৭ রাউন্ড গুলি করা পুলিশ। পরে পাশ্ববর্তী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, র্যাব, বিজিবি, পুলিশের মোবাইল টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেন।
প্রিজাইডিং অফিসার মাহবুবুল ইসলাম বলেন, পরাজিত হওয়ার পর মেম্বার প্রার্থী সোহরাব কেন্দ্রে হামলা চালায়। তাদের হামলায় আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কয়েকজন সদস্য আহত হয়েছেন। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।
এএইচ/