ঢাকা, সোমবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪,   পৌষ ৯ ১৪৩১

নিষিদ্ধ হলেও চলছে পলিথিনের অবাধ ব্যবহার (ভিডিও)

মানিক শিকদার

প্রকাশিত : ১২:১১ পিএম, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২১ মঙ্গলবার

নিষিদ্ধ হলেও বিকল্প না থাকার পাশাপাশি আইন প্রয়োগে শিথিলতার কারণেই বন্ধ করা যাচ্ছে না পলিথিনের ব্যবহার। পলিথিনের অবাধ ব্যবহারের ফলে বর্ষায় দুর্ভোগের অন্ত নেই নাগরিকদের। সামান্য বৃষ্টিতেই ডুবে শহরাঞ্চল। শুধু তাই নয়, পরিবেশতো বটেই মানব স্বাস্থ্যের জন্যও হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে পলিথিন। দ্রুতই পলিথিন ব্যবহার বন্ধে বিকল্প ব্যবস্থা নেয়ার তাগিদ পরিবেশবিদদের।

চাল, ডাল, মাছ মাংস, সবজি- যাই কেনা হোক না কেন পলিথিনে ভরেই ক্রেতার হাতে দেন দোকানি। 
রাজধানীর কাওরান বাজার, শ্যামলী, মোহাম্মদপুর, বাড্ডার মতো দেশের সব বাজারেই পলিথিনের অবাধ ব্যবহার। নিষিদ্ধ হলেও কারো কোনো বিকার নেই, যেনো কেউ কিছু জানেই না।

ব্যবসায়ীরা জানান, প্রশাসন থেকে কোন সমস্যা নাই। পলিথিন তো খুচরা বাজারে বিক্রি হয়, সেখান থেকেই আমরা কিনে আনি। অন্য আরেকজন জানান, কিছুদিন আগে প্লাস্টিকের বিষয়ে অভিযান চলছিল, পরে কিছুদিন বন্ধ ছিল। সেই সময় চটের ব্যাগ ও বস্তা বের হয়েছিল, এখন সেগুলো বন্ধ। ছোট হোক, বড় হোক সব জায়গাতেই প্লাসিক জাতীয় ব্যাগ।

এভাবে বিনামূল্যে পাওয়া পলিথিনের জন্য চরম মূল্য দিতে হচ্ছে শহরাঞ্চলের মানুষদের। একবার ব্যবহারের পরই যেখানে সেখানে ফেলা হচ্ছে পলিথিন। এই পলিথিনগুলো জমা হচ্ছে ড্রেনে। তাই সামান্য বৃষ্টিতেই দেখা দিচ্ছে জলাবদ্ধতা।

শুধু জলাবদ্ধতাই নয় পুকুর, নদী, সাগর, কৃষিজমিও দূষিত হচ্ছে প্লাস্টিক-পলিথিনে। 

পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সোবহান বলেন, জলাবদ্ধতার সৃষ্টি করে, কৃষি উৎপাদন ব্যাহত করে এবং মৎস্য সম্পদের মাধ্যমে এটা আমাদের শরীরে চলে আসে। এটা জনস্বাস্থ্যের ব্যাপক ক্ষতি করে। সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের এক গবেষণায় দেখা গেছে, পলিথিন ১ হাজার বছরেও ধ্বংস হয় না।

পরিবেশ বিষয়ক আর্ন্তজাতিক সংস্থা আর্থ ডে নেটওয়ার্কের প্রতিবেদনে প্লাস্টিক দূষণকারী শীর্ষ দশের মধ্যে আছে বাংলাদেশ। শুধু রাজধানীর ১২শ’ কারখানায় উৎপাদন হচ্ছে নিষিদ্ধ পলিথিন। বাধা দেয়ার যেনো কেউই নেই। 

পরিবেশবিদ আব্দুস সোবহান বলেন, ‘যখন পলিথিন বাংলাদেশ নিষিদ্ধ করে সারাবিশ্বে এটি প্রশংসিত হয়েছে। বাংলাদেশ প্রথম দেশ হিসেবে পলিথিন নিষিদ্ধ করে। এখন পৃথিবীর অনেক দেশে পলিথিন নিষিদ্ধ আছে। আমাদের যে আইন, সেই আইন বাস্তবায়নে গাফিলতি আছে। প্রধানত এই আইন বাস্তবায়নের দায়িত্ব হচ্ছে পরিবেশ অধিদপ্তরের।’

দ্রুত পলিথিনের ব্যবহার বন্ধ করে বিকল্প হিসেবে চট বা কাপড়ের ব্যাগ ব্যবহারে সরকারকে আরও কঠোর হওয়ার তাগিদ দিয়েছেন পরিবেশবিদরা।

ভিডিও-

এএইচ/