বিষাক্ত খাবারে প্রাণ হারাল ৭২টি ঘুঘু-কবুতর
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৫:২৭ পিএম, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২১ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৫:২৯ পিএম, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২১ মঙ্গলবার
জমিতে মাসকালাইয়ের সঙ্গে মেশানো বিষাক্ত খাবার খেয়ে প্রাণ হারিয়েছে ৬৫টি ঘুঘু ও ৭টি কবুতর। সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার নরিনা ইউনিয়নের নরিনা গ্রামের খেওয়া ঘাটের উত্তর পাড়ে পাখিগুলো মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা।
স্থানীয়ভাবে বন্য প্রাণী নিয়ে কাজ করা দি বার্ড সেফটি হাউসের চেয়ারম্যান মামুন বিশ্বাস বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, এলাকাবাসী ঘুঘু পাখিগুলো মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। পরে তারা পাখিগুলো উদ্ধার করে নদীতে ফেলে দেন। আর কিছু অসুস্থ পাখি স্থানীয় মানুষ জবাই করে খেয়ে ফেলেন।
খবর পেয়ে মঙ্গলবার সকালে সংগঠনের পক্ষ থেকে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। এ সময় স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জমিতে বিষ দিয়ে পাখি মারার সত্যতা মিলেছে। পরে ওই জমিতে ২৬টি মৃত ঘুঘু ও ৩টি কবুতর উদ্ধার করি আমরা। এছাড়া নদী থেকে বাকি মৃত পাখি ও কবুতরগুলো উদ্ধার করি।
এ বিষয়ে রাজশাহী বিভাগীয় বন্যপ্রাণী পরিদর্শক জাহাঙ্গীর কবিরের সঙ্গে যোগাযোগ করে ঘটনার বিবরণ তাকে জানান তারা। পরে শাহজাদপুরের ফরেস্ট পি এম রশিদুল হাসানের কাছে মৃত পাখিগুলো হস্তান্তর করা হয়।
এ ব্যাপারে দি বার্ড সেফটি হাউজ বাদী হয়ে বন্যপ্রাণী আইনে শাহজাদপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে।
বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঘুঘু খুব দ্রুতবেগে উড়তে পারে। ঘুঘু বাংলাদেশের অতি পরিচিত পায়রা জাতের পাখি। সাধারণত নিচু ঝোপঝাড়ে বাসা তৈরি করে ঘুঘু। গ্রীষ্মে পুরুষ ও স্ত্রী ঘুঘু উভয়ে মিলে বাসা বাঁধে। তারা ছায়াঘেরা সকাল ও বিকেলে খাবার খুঁজে বেড়ায়। বাকি সময় বৃক্ষের ডালে বসে কাটায়।
আরকে//