ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

তালেবানের অভ্যন্তরে বাড়ছে দ্বন্দ্ব

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৭:২৮ পিএম, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২১ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৭:৩৫ পিএম, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২১ মঙ্গলবার

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগী আফগান সরকারের হাত থেকে সফলভাবে ক্ষমতা দখল করেছে তালেবান। কিন্তু ক্ষমতা দখলেই শেষ হয়নি তালেবানের সমস্যা। তালেবানের অন্দরমহলের অন্তর্দ্বন্দ্ব ক্রমশ প্রকাশ পাচ্ছে।

তালেবান সরকার গঠনের আগে এটাই মনে করা হচ্ছিল যে তালেবানের সহ প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা বরাদর হয়তো আফগানিস্তানে সরকার চালাবেন। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায় সরকারের ভার যায় মোহাম্মদ হাসান আখুন্দের হাতে। মোল্লা বরাদর চেয়েছিলেন আফগান সরকারে বেশিমাত্রায় সংখালঘুদের প্রতিনিধিত্ব থাকুক। 

এছাড়াও তিনি চেয়েছিলেন আফগানিস্তানের ফ্ল্যাগ যেন তালেবান ব্যবহার করে। যদিও এর মধ্যে কোনোটিই তালেবান সরকারে খুব বেশি প্রাধান্য পায়নি এবং তালেবান সরকারের শীর্ষ নেতৃত্বে প্রাধান্য পেয়েছে পাকিস্তানপন্থী নেতৃত্ব।

পরবর্তীকালে কাবুলের প্রেসিডেন্টের প্রাসাদে তালেবানের এক বৈঠকে মোল্লা বরাদর এবং খলিল হাক্কানির অনুগামীদের মধ্যে খণ্ডযুদ্ধ বেঁধে যায়। এরফলে গুলি চালনার খবরও পাওয়া যায়। সেপ্টেম্বর মাসের শুরুতে কাবুলের বিভিন্ন অঞ্চলে গুলির যুদ্ধের খবর পাওয়া যায়। এই যুদ্ধের মূলে ছিল মোল্লা আব্দুল ঘনি বরাদর এবং আনিস হাক্কানির অনুগামীদের মধ্যে পঞ্জশির সমস্যার সমাধানের বিষয়ে মতানৈক্য। 

এই খণ্ডযুদ্ধের পরেই বরাদর লোকচক্ষুর আড়ালে চলে যান এবং কিছুদিন পরে তাকে আবার দেখা যায় কান্দাহারে। এই কান্দাহারকেই হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদার আঁতুরঘর বলে মনে করা হয়। যদিও শেষ কিছুদিনে তালেবান নেতা হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদার কোনো খবর পাওয়া যায়নি। 

অনেকেই মনে করছেন হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা নিহত হয়েছেন। আখুন্দজাদার অনুপস্থিতিতে তালেবানের শীর্ষ নেতৃত্বে যে খালি জায়গা সৃষ্টি হয়েছে তার ফলে তালেবানের অন্দরমহলে মতানৈক্য বৃদ্ধির সুযোগ তৈরী হয়েছে। এর আগের তালেবান সরকারের আমলে এরকম ঘটনা দেখা যায়নি। সেই সময়ে কাবুলে না এলেও তালেবান নেতা মোল্লা ওমরই শেষ কথা বলতেন। সূত্র: জিনিউজ

এসি