ফুসফুস প্রতিস্থাপনের অনন্য নজির গড়ল কলকাতা
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৩:৩৮ পিএম, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২১ বুধবার
শোনা তো দূরের কথা, এক সময়ে কল্পনাও করা যেতনা যে, একজনের ফুসফুস বসবে আরেকজনের শরীরে। সেই অসম্ভবই সম্ভব হয়েছে। নজির গড়ে সফলভাবে রোগীর শরীরে ফুসফুস প্রতিস্থাপন করেছে কলকাতার মেডিকা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের চিকিৎসকরা।
প্রখ্যাত চিকিৎসক ডা. কুণাল সরকারের নেতৃত্বে সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত প্রায় নয় ঘণ্টা ধরে চলে এই অস্ত্রোপচার। ফুসফুস প্রতিস্থাপনের এই ঘটনা নতুন ইতিহাস গড়ল পশ্চিমবঙ্গের চিকিৎসা জগতে।
অস্ত্রোপচার শেষে চিকিৎসকরা জানান, অপারেশন সফল। আগামী ৭২ ঘণ্টা রোগীকে পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে। তারপরই বোঝা যাবে, রোগীর শরীরে কতটা কাজ করছে নতুন ফুসফুস।
হিন্দুস্থান টাইমস জানায়, তিন মাস আগে কলকাতায় তথ্য প্রযুক্তি সংস্থায় কর্মরত ৪৬ বছর বয়সী দীপক হালদার করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। ওই ব্যক্তি বাম ফুসফুসটি পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যায়। ডান দিকের ফুসফুস দিয়ে কাজ চালানো সম্ভব ছিল না। ফলে ফুসফুস প্রতিস্থাপন করা ছাড়া চিকিৎসকদের কাছে আর কোনও উপায় ছিল না।
এরইমধ্যে ওই রোগীর স্বজনদের কাছে খবর আসে গুজরাটের সুরাটে এক রোগীকে ব্রেনডেড ঘোষণা করা হয়েছে। আর মৃত্যুর এই খবরেই নতুন করে প্রাণ পান এই রোগীর স্বজনরা। এরপর দুই রোগীর স্বজনদের যোগাযোগ হয়, কথা হয় দুই হাসপাতালের চিকিৎসকদের। সবকিছুর সমন্বয় করে সোমবার সুরাট থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে কলকাতায় নিয়ে আসা হয় ফুসফুসটি।
রাতে দমদম বিমানবন্দরে ফুসফুসটি পৌঁছানোর পর গ্রিন করিডোর করে তা নিয়ে আসা হয় হাসপাতাল পর্যন্ত। ওই রাতেই অস্ত্রোপচার করে ফুসফুস প্রতিস্থাপন করেন চিকিৎসকরা।
কলকাতায় তো বটেই পুরো পশ্চিমবঙ্গেই এই প্রথম ফুসফুস প্রতিস্থাপনে মেডিকা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল সত্যিই নতুন নজির গড়ল।
এমএম/ এসএ/