ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

আদা খাওয়া কাদের জন্য বিপজ্জনক?

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:০৬ এএম, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ বৃহস্পতিবার

আদা রান্নার মশলা হিসাবেই বেশি পরিচিত। তবে মানবদেহের রোগ সারাতে এর ব্যবহার ঐতিহাসিক যুগ থেকে। শোনা যায়, হাজার বছর আগে প্রাচীন চীনে প্রথম এর ব্যবহার শুরু হয়। 

আদা মূলত একটি সপুষ্পক উদ্ভিদ এবং এর মাটির নিচে থাকা ‘মূল’ ব্যবহারযোগ্য। 

পুষ্টিবিদদের মতে আদায় প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি এবং বায়োঅ্যাকটিভ উপাদান রয়েছে। যা শারীরিক ও মানসিক সুস্থতায় ওষুধের মত কাজ করে। 

রান্নার মশলা হিসাবে আদার ব্যবহার সবচেয়ে প্রচলিত হলেও ওষুধ তৈরিতেও এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তবে সাধারণ কিছু শারীরিক সমস্যা যেমন, সর্দি-কাশি এবং হজমের সমস্যায় কাঁচা আদা খুব উপকারী। যা ওষুধের চেয়েও বেশি কার্যকর। 

এছাড়া হৃদরোগেরও উপশম করে আদা। তবে কিছু ব্যাক্তির জন্য এটি বিপজ্জনক হতে পারে। 

যাদের রক্তের রোগ আছে, বিশেষ করে যারা হিমোফেলিয়া রোগে আক্রান্ত তাদের জন্য আদা ক্ষতিকর। এই রোগের কারণে রক্ত জমাট বাধার সক্ষমতা কমতে থাকে। যেকারণে কোথাও কেটে গেলে কিংবা ক্ষত সৃষ্টি হলে সহজে রক্ত বন্ধ হয় না। অনেক সময় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মানুষের মৃত্যুও হতে পারে। আর আদা রক্ত পাতলা করতে সাহায্য করে। এজন্য এই রোগীরা অবশ্যই আদা থেকে দূরে থাকবেন। 

ডায়বেটিস কিংবা ওভার ওয়েট সমস্যার সমাধানে আদার ব্যবহার খুব বেশি প্রচলিত। এটি মূলত ফ্যাট বার্ন করে। তাই এটাই স্বাভাবিক, যে যারা আন্ডার ওয়েট অর্থাৎ ওজন প্রয়োজনের চেয়ে কম আছে তারা আদা থেকে দূরে থাকবেন। এ অবস্থায় আদা খেলে ওজন আরও কমতে পারে। শুধু তাই নয়, চুল পড়া, ভিটামিনের স্বল্পতা এবং নারীদের ক্ষেত্রে অনিয়মিত মাসিকের সমস্যা দেখা দিতে পারে।   

যারা কোনো বিশেষ চিকিৎসার মধ্যদিয়ে যাচ্ছেন তাদের জন্য আদা ক্ষতির কারণ হতে পারে। বিশেষ করে আপনি যদি বিটা-ব্লকার, ইনসুলিন এবং এন্টিকোয়াল্টে জাতীয় ওষুধ গ্রহণ করেন তাহেলে অবশ্যই আদা এড়িয়ে চলা উচিৎ। 

এছাড়া গর্ভবাতী নারীদের জন্যও আদা খুব বেশি নিরাপদ নয়। বিশেষ করে গর্ভ ধারণের শুরুর দিকে এবং শেষের দিকে। কারণ শুরুতে গর্ভপাত এবং শেষ পর্যায়ে প্রি-ম্যাচিউর বাচ্চা প্রসবের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয় আদা।

আপনি যদি এই চারটি পরিস্থিতির মধ্যদিয়ে যান তাহলে, আদা খাওয়া আপনার জন্য একবারেই নিরাপদ নয়। 

তবে এই মশলার মজা থেকে বঞ্চিত হতে না চাইলে এর বিকল্প খুঁজে নিতে পারেন। লাল মরিচের গুড়া, মিষ্টি মরিচ কিংবা পাপড়িকা পাউডার ব্যবহারে অটুট থাকবে আপনার খাবারের স্বাদ ও গন্ধ। 
এসবি/ এসএ/