ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

রাষ্ট্র দিয়েছেন পিতা, অর্থনীতির ভিত কন্যার হাতে

আকবর সুমন

প্রকাশিত : ১১:৪২ এএম, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ১১:৪৪ এএম, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ বৃহস্পতিবার

বাঙালির জন্য রাষ্ট্র দিয়েছেন শেখ মুজিব। আর রাষ্ট্রের জন্য কল্যাণকর অর্থনীতির ভিত গড়েছেন শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধুর উন্নয়ন দর্শনে সুসমন্বয়ে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী দেশের প্রবৃদ্ধি পৌঁছে দিয়েছেন অনন্য উচ্চতায়। 

স্বাধীনতার পর এই ব-দ্বীপের সাড়ে ৭ কোটি বাঙালিকে শ্রেষ্ঠ সম্পদ বিবেচনা করেছিলেন জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমান। সম্পদশালী দেশ গড়ার প্রত্যয়ে যিনি নিবিষ্ট করেছিলেন একঝাঁক মেধাবী।

১৯৭২-৭৩ অর্থবছরের বাজেটে জনকের হাত গুণেছিল ৭শ’ ৮৬ কোটি টাকা। ৪৯ বছর পর তাঁর কন্যা শেখ হাসিনার ক্যালকুলেটর হিসেব কষেছে ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি।

অগ্রসরমান অর্থনীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭শ’ ২৩ গুণ। সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকার জিডিপি এখন ২৮ লাখ কোটি টাকার উপর। রপ্তানীর আকার ৩ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৪ বিলিয়ন ডলার। বৈদেশিক মুদ্রার বাজার ১ দশমিক ২৬ বিলিয়ন ডলার টপকে হয়েছে ১৮০ বিলিয়ন ডলারে। 

জনকের কল্যাণকর রাষ্ট্রের রেখা ধরে সুকন্যা শেখ হাসিনাতে সমৃদ্ধ এখন বাংলাদেশ। টেকসই অর্থনীতি গড়েছে কাঙ্ক্ষিত ভিত্তি। 

অর্থনীতিবিদ কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, এমন একটি রাষ্ট্র তৈরি করা হবে যেটা হবে অসাম্প্রদায়িক, প্রগতিশীল, উদার ও গণতান্ত্রিক কল্যাণ রাষ্ট্র। মানুষকে ঘিরে বঙ্গবন্ধুর চিন্তা-ভাবনার সবগুলোকে ধারণ এই রক্ষ্য স্থির করা। গ্রামীণ অর্থনীতির মধ্যে কৃষি এবং কৃষি বহির্ভূত কাজ দুটো খুব চাঙ্গা হয়ে গেল। ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করলাম সেটা কিন্তু ওই ভিতটার কারণে।

নিজেদের টাকায় পদ্মাসেতু, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট আর ছোট-বড়-মাঝারি অবকাঠামো মাথা তুলেছে দূরপ্রান্তের গ্রাম থেকে রাজধানী অব্দি। ২০০৯ থেকে টানা ৩ মেয়াদে আওয়ামী লীগ আছে সরকারে। রয়েছে নিরবচ্ছিন্ন সাফল্যে। জনতার টুকরো স্বপ্নগুলো এখন রোদ্রকরোজ্জ্বল আলোয় উদ্ভাসিত। চ্যালেঞ্জ শুধু একটাই, বৈষম্য দূর করে সমতায় ফেরা।  

কাজী খলীকুজ্জমান আরও বলেন, ‘২০১৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহার দেখলে সেখানে দেখা যাবে সমস্যাগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে। সেগুলোকে সমাধান করে আমরা টেকসই উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাব। আমরা নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশ হয়েছি, তবে দুর্নীতি দমন করতে হবে। যে প্রবৃদ্ধি হতে পারতো, আরও উন্নতি হতে পারতো, সামাজিক খাতে যে উন্নতি হতে পারতো দুর্নীতির কারণে সেটা হচ্ছে না। দ্বিতীয়ত হচ্ছে বৈষম্য, বৈষম্যের প্রকট আকার ধারণ করেছে এটা কমিয়ে আনতে হবে। তৃতীয়ত সুশাসনের ঘাটতি আছে, এই ঘাটতি পূরণ করতে হবে।’
 
ভিনদেশিদের আরোপিত ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ আখ্যার এদেশ এখন অন্যদেশের রোল মডেল। জয়তু শেখ হাসিনা। মানুষের জয়যাত্রায় যিনি অগ্রবর্তী এবং বিশিষ্ট। 

ভিডিও-

এএইচ/