ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১

শেষ রক্ষা হলো না টাইগারদের

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৩:৫৭ পিএম, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২১ শনিবার

প্রথম ইনিংসে অনবদ্য সেঞ্চুরির পর দ্বিতীয় ইনিংসেও ফিফটি হাঁকান আফগান ওপেনার বিলাল সায়েদি

প্রথম ইনিংসে অনবদ্য সেঞ্চুরির পর দ্বিতীয় ইনিংসেও ফিফটি হাঁকান আফগান ওপেনার বিলাল সায়েদি

শেষ রক্ষা হলো না টাইগার যুবাদের। পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ৩-২ ব্যবধানে জিতলেও একমাত্র চারদিনের ম্যাচে হার এড়াতে পারলো না আইচ মোল্লারা। শেষ দুই ম্যাচের মতো একমাত্র চার দিনের ম্যাচেও জয় তুলে নিয়ে নিজেদেরকে প্রমাণ করলো আফগান যুবারা।

শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) তৃতীয় দিন শেষে ম্যাচে ফেরার ইঙ্গিত দিলেও শনিবার শেষ দিনে আইচ মোল্লারা স্কোরবোর্ডে যোগ করতে পেরেছে মাত্র ৫৮টি রান; ২২৮ রানেই শেষ হয়েছে টাইগার যুবাদের দ্বিতীয় ইনিংস। ফলে ১১০ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে ম্যাচের একমাত্র সেঞ্চুরিয়ান বিলাল সায়েদির অর্ধশতকে ৩ উইকেটের জয় তুলে নেয় সফরকারীরা। ১০১ বলে নিজের অর্ধশতক পূরণ করেন বিলাল।

শুক্রবার তৃতীয় দিনে আফগানিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দল যখন প্রথম ইনিংস শেষ করে, তখন তাদের নামের পাশে ২৮১ রান; লিড ১১৯ রানের। বড় ওই ব্যবধানে পিছিয়ে থেকে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ইফতিখার ইফতির উইকেট হারালেও খালিদ হাসানের সঙ্গে ৫৭ রানের জুটি গড়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন আরেক ওপেনার প্রান্তিক নওরোজ নাবিল। 

এসময় ২০ রান করে খালিদ ফিরে গেলেও নাবিল খেলতে থাকেন একপ্রান্ত আগলে রেখে। অর্ধশতক তুলে নিয়ে ব্যক্তিগত ৭৬ রানে প্যাভিলিয়নে ফিরে যাওয়ার আগে অধিনায়ক আইচ মোল্লাহকে নিয়ে স্কোরবোর্ডে যোগ করেন ৯১টি মূল্যবান রান। এরপর আশরাফুলকে (১৪) নিয়ে তৃতীয় দিন শেষে ৪০ রানে অপরাজিত ছিলেন অধিনায়ক।

তবে চতুর্থ দিনের শুরুতেই কোনো রান না করেই ড্রেসিং রুমের পথ ধরেন আইচ মোল্লা। তার আউটের সঙ্গে সঙ্গেই যেন নিভতে শুরু করে বাংলাদেশ দলের আশার প্রদীপও। শেষমুহূর্তে মেহরাব হোসেনের ৩০ এবং তাহজিবুল ইসলামের ২০ রান শুধু লক্ষ্যটাকেই যা একটু বড় করেছে, কিন্তু তা জয়ের জন্য যথেষ্ট হয়নি। ২২৮ রানেই শেষ টাইগারদের দ্বিতীয় ইনিংস; মাত্র ১০৯ রানের লিড পায় আইচ মোল্লার দল।

এদিকে, ১১০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলতে গিয়ে একপ্রান্ত থেকে উইকেট হারাতে থাকলেও, অপর প্রান্ত আগলে রাখেন প্রথম ইনিংসে শতক তুলে নেয়া বিলাল সায়েদি। প্রথম ইনিংসে ১১৪ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলা এই আফগান তরুণ ওপেনারের ব্যাট থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে আসে মূল্যবান ৫৪টি রান। 

জয়ের জন্য আফগানদের যখন মাত্র ২টি রান প্রয়োজন, তখন অনিয়মিত বোলার প্রান্তিক নওরোজ নাবিলের বলে উইকেটকিপারের গ্লাভসবন্দী হয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। যদিও নিজের আউটটাকে মেনে নিতে পারেননি বিলাল সায়েদি, পিচের উপরেই দাঁড়িয়ে ছিলেন কয়েক মুহূর্ত। 

অন্যদিকে, দুর্দান্ত ফিল্ডিং করলেও, আফগানিস্তানের জয়টাকে রুখতে পারেনি টাইগাররা। ৭ উইকেট হারিয়েই সফরকারীরা পৌঁছে যায় জয়ের বন্দরে। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন আইচ মোল্লা, মুশফিক হাসান এবং রিপন মন্ডল। তবে ম্যাচ সেরা হয়েছেন বিলাল সায়েদিই।

এনএস//