ঢাকা, রবিবার   ২২ ডিসেম্বর ২০২৪,   পৌষ ৮ ১৪৩১

অবশেষে জয়ে ফিরলো কোহলির ব্যাঙ্গালুরু

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:০৬ এএম, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১ সোমবার

আরব আমিরাতে এসে টানা দুই ম্যাচ হারের পর জয়ের দেখা পেলো বিরাট কোহলির রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু। হার্শাল প্যাটেলের হ্যাটট্রিকে ধস নামে মুম্বাইয়ের মিডল অর্ডারে। হঠাৎ এই ব্যাটিং ধসে বড় ব্যবধানে ম্যাচ হেরে যায় রোহিত শর্মার দল।

রোববার রাতে দুবাই ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে জয়ের জন্য ১৬৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ১৮.১ ওভারে ১১১ রান তুলতেই অলআউট হয়ে যায় মুম্বাই ইন্ডিয়ানস। ফলে ৫৪ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে কোহলিরা।

আমিরাতে নিজেদের প্রথম ম্যাচে কেকেআরের কাছে মাত্র ৯২ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল ব্যাঙ্গালুরু। শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে ম্যাচ জিতেছিল নাইটরা। এরপরের ম্যাচে ধোনির চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে হার মানে কোহলিরা। ব্যাটাররা কিছু রান কম করলেও বোলিং বিভাগে ব্যাঙ্গালুরুর হার্শাল-চাহাল ছিলেন সুপারহিট।

লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ওপেনিং জুটিতে ৫৭ রান তুলে ফেলে মুম্বাই। এ সময় ২৩ বলে ২৪ রান করা ডি কক আউট হয়ে যান। রোহিত শর্মা আরও কিছুদুর টেনে নিয়ে যান। দলীয় ৭৯ রানের মাথায় তিনি আউট হন। রোহিত শর্মা করেন ২৮ বলে ৪৩ রান। ৫টি বাউন্ডারির সঙ্গে ১টি ছক্কার মার মারেন তিনি। 

রোহিত আউট হয়ে যেতেই মড়ক লাগে মুম্বাই ইনিংসে। আর কোনো ব্যাটসম্যানই দুই অংকের ঘর ছুঁতে পারেননি। টিকতে পারেননি ইশান কিষান, ক্রুনাল পান্ডিয়া ও সূর্যকুমার যাদব।

মুম্বাইকে বড় ধাক্কাটা দেন হার্শাল। ১৭তম ওভারে পরপর তিন বলে হার্দিক পান্ডিয়া, কাইরন পোলার্ড ও রাহুল চাহারকে ফিরিয়ে তিনি পূরণ করেন হ্যাটট্রিক। আইপিএলে এটি ২০তম হ্যাটট্রিকের ঘটনা। হার্শাল সেখানে ১৭তম বোলার। সর্বোচ্চ তিনবার এই কীর্তি গড়েন অমিত মিশ্র। দুইবার যুবরাজ সিং।

মাত্র ৯ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন ইশান। ফের বোলিংয়ে বদল করে ম্যাক্সওয়েলকে দিয়ে বিরাট তুলে নেন ক্রুনাল পান্ডিয়ার (৫) উইকেট। আর সূর্যকুমারের (৮) উইকেট পেয়েছেন মোহম্মদ সিরাজ।

৩.১ ওভারে ১৭ রান দিয়ে হ্যাটট্রিকসহ হার্শালের শিকার ৪টি। ৪ ওভারে মাত্র ১১ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন লেগ স্পিনার যুজবেন্দ্র চাহাল। ২ উইকেট নিয়েছেন ম্যাক্সওয়েল।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬৫ রান তুলেছিল রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু। ওপেনার দেবদত্ত পাড়িক্কাল রানের খাতা না খুলেই জাসপ্রীত বুমরার শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। এরপর তিন নম্বরে নামা শ্রীকর ভরত জুটি বাঁধেন কোহলির সঙ্গে। ২৪ বলে ৩২ রান করে রাহুল চাহারের বলে আউট হন তিনি। ৭৫ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় ব্যাঙ্গালুরু।

এই ম্যাচে শুরু থেকেই নিজের ছন্দে ছিলেন বিরাট। গ্লেন ম্যাক্সওয়েল মাঠে আসার পর তার সঙ্গে জুটি বেঁধে ৫০ রানের পার্টনারশিপও গড়েন কোহলি। কিন্তু তারপরই অঘটন। ৪২ বলে ৫১ রান করে অ্যাডাম মিলনের বলে আউট হন কোহলি। এই ম্যাচে তিনি টি-টুয়েন্টি ক্রিকেট ক্যারিয়ারের ১০ হাজার রান পূর্ণ করেন। 

ক্যাপ্টেন কোহলি ফেরার পর ম্যাক্সওয়েলের উইকেট হারায় ব্যাঙ্গালুরু। ৫৬ রানের দুরন্ত ইনিংস সাজিয়েছিলেন ৬টি চার ও ৩টি ছয় দিয়ে। এরপর এবিডিকে নিজের জালে ফাঁসান বুমরা। শেষ দিকে ট্রেন্ট বোল্টও নিজের ছাপ রেখে যান শাহবাজ আহমেদের উইকেট তুলে নিয়ে। বুমরা-বোল্টদের দাপটে ১৬৫ রানে আটকে যায় কোহলির ব্যাঙ্গালুরু।

ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হন ম্যাক্সওয়েল।

এই জয়ের ফলে তিন নম্বরে উঠে এলো কোহলিরা। ১০ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট এখন ১২। সমান ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট চেন্নাই এবং দিল্লির। তবে রান রেটে এগিয়ে থেকে শীর্ষে চেন্নাই, দুইয়ে দিল্লি। ৮ পয়েন্ট নিয়ে চার নম্বরে কেকেআর।

এএইচ/