বহুমাত্রিক সমস্যায় উচ্চহারে বাড়ছে হৃদরোগ
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১২:৪১ পিএম, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২১ বুধবার
সময়ের প্রয়োজনে বেড়েছে জীবনের জটিলতা। বহুমাত্রিক সমস্যায় উচ্চহারে বাড়ছে হৃদরোগ। কমছে না হাসপাতালের ভিড়। আউটডোর-ইনডোর মিলে প্রতিনিয়ত সেবাও নিচ্ছেন অনেক মানুষ। বলা চলে, ক্রমবর্ধমান এই হৃদরোগ।
রাজধানীর জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল। এরা প্রত্যেকেই এসেছেন হার্টের চিকিৎসা করাতে।
বহির্বিভাগের চিকিৎসকরাও ব্যস্ত রোগী দেখায়। দীর্ঘ অপেক্ষায় আছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা আরও অনেকে। এ দৃশ্য অবশ্য প্রতিদিনের।
তাদের কেউ বলছেন, "এখানে খরচ কম তাই আসি, কিন্তু দূর থেকে আসায় যাতায়াতের খরচই বেশি পড়ে।"
হাসপাতালের বর্হিবিভাগে প্রতিদিন সেবা নেন ১ হাজারের বেশি। বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভর্তি রোগীর সংখ্যাও বেড়েছে সময়ের আবর্তনে।
এখানে আসা এক রোগী বলেন, "রিং পরানোর পরে আবার হর্টের সমস্যা হয়েছে তাই আবার এসেছি।"
এ বছরের আগস্ট থেকে বহির্বিভাগে বেড়েছে রোগীর চাপ। অবস্থা জটিল হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যাও বিগত হিসেবে ছাড়িয়েছে।
জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক ডা. মীর জামাল উদ্দিন জানান, "দুই বছর আগেও এখানে প্রতিনি ভর্তি হত এক থেকে দেড়শো রোগী। কিন্তু এখন দিনে দুইশর বেশি ভর্তি হচ্ছে। কোভিডের দ্বিতীয় ধাক্কার পর এখানে সবচেয়ে বেশি রোগী পাচ্ছি।"
উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, রক্তে চর্বি, খাদ্যাভাসে পরিবর্তন, তামাক ও ধূমপান সেবন, কায়িক পরিশ্রম না করার ফলে হৃদরোগে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। বংশগত প্রভাবও অনেকের ক্ষেত্রে এ রোগের কারণ।
ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা জাতীয় অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার জেনারের (অব.) আবদুল মালিক জানান, "এই রোগ একদিনে হয়না, একবার হয়ে গেলে হয় রোগী মারা যাবে অথবা রোগ নিয়েই বাঁচতে হবে। এজন্য এই রোগ প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ করাই ভাল।"
তবে সচেতনতা বাড়লে হৃদরোগের প্রকোপ কমবে-অভিমত বিশেষজ্ঞদের।
দেখুন ভিডিও
এসবি/