ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

আব্দুল করিম সাহিত্য বিশারদের প্রয়াণ দিবস

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:১১ এএম, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২১ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ১১:১৩ এএম, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২১ বৃহস্পতিবার

ব্রিটিশ ভারত ও পাকিস্তানের বাঙালি সাহিত্যিক, প্রাচীন পুঁথি সংগ্রহ এবং সাহিত্যের ঐতিহ্য অন্বেষণকারী বিরল ব্যক্তিত্ব আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদের ৬৮তম প্রয়াণ দিবস ৩০ সেপ্টেম্বর, বৃহস্পতিবার।

বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস রচয়িতা এবং প্রাচীন বাংলা পুঁথির সংগ্রাহক ও ব্যাখাকার হিসেবে প্রসিদ্ধ তিনি। শিক্ষকতার পাশাপাশি প্রথম জীবন থেকেই সাহিত্যকর্মে মনোনিবেশ করেন তিনি। তাঁর সাহিত্যকর্মের বড় অংশ জুড়েই ছিল মধ্যযুগে বাংলা সাহিত্যে মুসলমানদের অবদান বিষয়ক তথ্যভান্ডার।

১৮৭১ সালের ১১ অক্টোবর তিনি বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া উপজেলার অন্তর্গত সুচক্রদন্ডী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৮৯৩ সালে পটিয়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এন্ট্রান্স পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।

আবদুল করিম পেশা হিসেবে শিক্ষকতা করেছেন। তিনি ১৮৯৫ সালে চট্টগ্রামে মিউনিসিপ্যাল স্কুলে শিক্ষক হিসাবে নিযুক্ত হয়েছিলেন। এরপর তিনি চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনারের দপ্তরে কাজ শুরু করেন। তিনি বিভাগীয় স্কুল পরিদর্শ‌ক হিসেবে পদোন্নতি পেয়েছিলেন। তিনি ১৯৩৪ সালে অবসর নেন।

১৯২১ সালে বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ তাঁর বাংলা পুঁথি দুইখন্ডে প্রকাশ করে। তাঁর সংগ্রহীত পুঁথিগুলো থেকে জানা যায় সেসময়ে বাংলা সাহিত্য বিকাশে উপমহাদেশের মুসলীম পন্ডিতদের প্রজ্ঞাময় রচনা সর্ম্পকে।

তিনি ১১টি প্রাচীন বাংলা গ্রন্থ সম্পাদনা ও প্রকাশ করেছেন। চট্টগ্রামের ইতিহাস ও সংস্কৃতির উপর ইসলামাবাদ নামে তার লেখা বই রয়েছে। পূর্বে অজ্ঞাত ছিলেন এমন প্রায় ১০০ জন মুসলিম কবিকে তিনি পরিচিত করেন। এছাড়াও তিনি ও মুহম্মদ এনামুল হক যৌথভাবে আরাকান রাজসভায় বাঙ্গালা সাহিত্য শিরোনামে গ্রন্থ রচনা করেছেন।

তার উল্লেখযোগ্য সম্পাদিত পুঁথিসমূহের মধ্যে জ্ঞানসাগর, গোরক্ষ বিজয়, মৃগলব্ধ, সারদা মুকুল ইত্যাদি অন্যতম।

আবদুল করিম সাহিত্যে অনন্য অবদানের জন্য নদীয়া সাহিত্য সভা তাকে ‘সাহিত্যসাগর’ খেতাব এবং চট্টল ধর্মমণ্ডলী তাকে ‘সাহিত্যবিশারদ’ খেতাব প্রদান করে। শেষোক্ত খেতাবটি তিনি নামের সঙ্গে ব্যবহার করতেন।

চট্টগ্রামের পটিয়ায় ১৯৫৩ সালের এ দিনে তিনি অনন্তে পাড়ি জমান।    
এসএ/