ঢাকা, মঙ্গলবার   ১৫ অক্টোবর ২০২৪,   আশ্বিন ২৯ ১৪৩১

৫০০ বছর পরে পৃথিবীই হবে ভিনগ্রহ! 

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:২৬ এএম, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২১ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ১১:৩৬ এএম, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২১ বৃহস্পতিবার

২৫০০ সালের মধ্যে বাসযোগ্য এই সুন্দর গ্রহটিই মানবসভ্যতার কাছে হয়ে যাবে অচেনা। এটি কোনও জ্যোতিষীর বানী নয়, এই হুঁশিয়ারি দিলেন খোদ রাষ্ট্রপুঞ্জের বিজ্ঞানীরা।

আন্তর্জাতিক জলবায়ু বিজ্ঞান গবেষণা পত্রিকা 'গ্লোবাল চেঞ্জ বায়োলজি'তে সম্প্রতি রাষ্ট্রপুঞ্জের বিজ্ঞানীদের একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে। সেখানেই এমন পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। 

'ইউনাইটেড নেশন্স অ্যাসেসমেন্ট অব ন্যাশনালি ডিটারমাইন্ড কন্ট্রিবিউশন্স' শিরোনামের গবেষণাপত্রটি তে বলা হয়েছে, জলবায়ূ পরিবর্তন রোধে সম্প্রতি বিশ্বের রাষ্ট্রনেতারা যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সেগুলো পুরোপুরি পালন করা হলেও সঙ্কা কাটবে না। 

এরপরেও আর ৭৯ বছরের মধ্যে পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা প্রাক শিল্পযুগের চেয়ে অন্তত ২.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়ে যাবে বলে আশঙ্কা বিজ্ঞানীদের। এতে বিশ্বজুড়ে বড় দাবানল হবে ঘনঘন, যা নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়াবে।  

শুধু দাবানলই নয় ঝড়, ঘূর্ণিঝড়, খরা, বন্যা, তাপপ্রবাহ ও শৈত্যপ্রবাহের তীব্রতা এতোটাই বেড়ে যাবে যে ২১০০ সাল থেকে পৃথিবী তার বৈশিষ্ট্য হারাবে এবং ধীরে ধীরে বাসের অযোগ্য হতে থাকবে। 

প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে বলা হয়েছিল, ২১০০ সালের মধ্যে পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা-বৃদ্ধিকে প্রাক শিল্পযুগের চেয়ে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখতে হবে।  

তবে এখন গবেষকরা বলছেন এতেও পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধির হার নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হবে না। ২১০০ সাল থেকে যার ফল ভোগ করতে হবে পৃথিবীবাসীকে। 

বিজ্ঞানীদের পূর্বাভাস অনুযায়ী ২১০০ সালের পর থেকে পৃথিবীর ফসলি জমিগুলো অনুর্বল হয়ে পড়বে। অনেকটা পৃথিবীর দুই মেরুর মত অবস্থা হবে পুরো পৃথিবীর। কারণ ততদিনে দুই মেরুর বরফ গলে গিয়ে সব একাকার হয়ে যাবে।

এদিকে একশ বছর পর আমাজন নদীর অববাহিকা কেমন হবে তার একটি চিত্র প্রকাশ করা হয়েছে সায়েন্টিস্ট আমেরিকান পত্রিকায়। 

আমাজন অববাহিকা। উপরে- এখনকার ছবি, নীচে- ২১০০ সালে যা অবস্থা হবে।  ছবি সৌজন্যে- টুইটার

রক্ষা পবে না দক্ষিণ এশিয়াও। জলবায়ূ পরিবর্তনের কারণে ১০০ বছর পরে ভারতবর্ষের চাষাবাদেরও বহু পরিবর্তন আসবে। সেই সময়ের চিত্র কেমন হবে তারও একটি ছবি প্রকাশ করা হয়েছে সায়েন্টিস্ট আমেরিকান পত্রিকায়।  

ভারতীয় উপমহাদেশের গ্রাম। উপরে- আগে যা ছিল, মাঝখানে, এখন যে ভাবে চাষবাস হচ্ছে, নীচে, যে ভাবে রোবটের মাধ্যমে ২১০০ সালে চালাতে হবে চাষবাস। ছবি- টুইটার

এখন আমরা আধুনিক রাষ্ট্র গঠন, শিল্প বিপ্লব এবং পরিচিতি প্রতিষ্ঠার জন্য যা যা করছি তার সবই ব্যর্থ হবে আর ৫০০ বছর পরে, যদি না আমরা এই পৃথিবীকে বাসযোগ রাখতে না পারি।  

সূত্র: সায়েন্টিস্ট আমেরিকান
এসবি/