মহামারীর পর প্রথমবার খুলছে অস্ট্রেলিয়া সীমান্ত
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০২:২২ পিএম, ১ অক্টোবর ২০২১ শুক্রবার
নভেম্বর থেকে আন্তর্জাতিক সীমান্ত খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। তবে শুধুমাত্র টিকা প্রাপ্ত নাগরিকরাই পারাপারের স্বাধীনতা পাবে।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে ২০২০ সালের মার্চ থেকে সীমান্তে কঠোর নিয়ম জারি করে অস্ট্রেলিয়ার সরকার।
অস্ট্রেলিয়ায় প্রবেশ তো দুরের কথা, নিজ দেশ থেকেও অন্য কোথাও যাওয়ার সুযোগও ছিল না দেশটির নাগরিকদের। এতে অনেক নাগরিক দীর্ঘদিনের জন্য আটকে পড়েছিলেন।
এবারে সীমান্ত খোলার সিদ্ধান্তে প্রায় ১৮ মাস পর বিভিন্ন দেশের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার স্বাভাবিক যাতায়াত চালু হবে। ভ্রমণের এই স্বাধীনতায় আনন্দিত দেশটির নাগরিকরা।
দেশটিতে এখন কেবল অস্ট্রেলীয় এবং বিশেষ ক্ষেত্রে ছাড় পাওয়া ব্যক্তিরাই প্রবেশ করতে পারছে। এমনকি দেশটির নাগরিকদেরও অন্যদেশে যাওয়ায় রয়েছে নিষেধাজ্ঞা।
সংক্রমণ নিযন্ত্রণে অস্ট্রেলিয়ায় সীমান্ত বন্ধের সিদ্ধান্ত বিশ্বব্যাপী বেশ প্রশংসা পেয়েছে। তবে এই সিদ্ধান্তের কারণে দীর্ঘদিন ধরে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিলেন বিভিন্ন জায়গায় আটকে পড়া অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক ও তাদের আত্মীয় স্বজনরা।
শুক্রবার দেশটির প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন বলেছেন, যেসব রাজ্যে ৮০ শতাংশের বেশি মানুষ টিকা নিয়েছেন সে সব রাজ্যে স্বাধীনভাবে চলাচল করা যাবে।
তবে নভেম্বরে বিধিনিষেধ শিথিল হলেও অস্ট্রেলিয়ায় ঢুকতে হলে সাত দিন থাকতে হবে কোয়ারেন্টিনে।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় এখনও দেশটির তিনটি শহর সিডনি, মেলবোর্ন এবং ক্যানবেরায় লকডাউন চলছে। শিগগিরই এই লকডাউন তুলে নেয়া হবে বলে আভাস পাওয়া গেছে।
সূত্র: বিবিসি
এসবি/