মমতার জয় এখন সময়ের ব্যাপার
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১২:৫৩ পিএম, ২ অক্টোবর ২০২১ শনিবার | আপডেট: ০১:১৪ পিএম, ২ অক্টোবর ২০২১ শনিবার
ভবানীপুর উপনির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয় এখন সময়ের অপেক্ষা মাত্র। এমনটাই দাবি শাসকদল তৃণমূলের। রবিবার উপনির্বাচনে জয় পেলে পুজার আগে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিতে পারেন মমতা। তবে এবার সেই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান নিয়ে বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় ও পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের মধ্যে সঙ্ঘাত সৃষ্টি হবে কিনা তা নিয়ে দেখা দিয়েছে আলোচনা।
বিধানসভা সূত্রে খবর, সম্প্রতি রাজভবন থেকে একটি বার্তা এসেছে বিধানসভার সচিবালয়ে। সেই বার্তায় বলা হয়েছে, এরপর থেকে নির্বাচিত বিধায়কদের শপথগ্রহণ করাবেন রাজ্যপাল। কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, সাংবিধানিক ভাবে লোকসভার ক্ষেত্রে সাংসদদের শপথগ্রহণ করানোর দায়িত্ব দেশের রাষ্ট্রপ্রতির। রাজ্য বিধানসভার ক্ষেত্রে সেই দায়িত্ব পান রাজ্যের রাজ্যপাল। কিন্তু প্রায় সব ক্ষেত্রেই সাংসদ বিধায়কদের শপথগ্রহণের দায়িত্ব রাষ্ট্রপতি বা রাজ্যপাল দিয়ে দেন তাঁর মনোনীত ব্যক্তিকে। লোকসভার ক্ষেত্রে সেই দায়িত্ব দেওয়া হয় স্পিকারকে। বিধানসভার ক্ষেত্রে রাজ্যপাল সেই দায়িত্ব দেন সংশ্লিষ্ট বিধানসভার স্পিকারকে।
রাজভবন সূত্রে খবর, রাজ্যপালের দেওয়া সেই ক্ষমতা এবার প্রত্যাহার করে নেওয়া হতে পারে।
রাজভবন থেকে বিধানসভায় পাঠানো বার্তায় জানানো হয়েছে, সংবিধানের ১৮৮ ধারা অনুযায়ী শপথগ্রহণ নিয়ে রাজ্যপাল এত দিন যে অধিকার স্পিকারকে দিয়েছিলেন, তা প্রত্যাহার করা হবে।
ঘটনাচক্রে, বহু দিন ধরেই পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপালরা এই দায়িত্ব স্পিকারকে দিয়ে রেখেছিলেন। সেই অধিকার আইন বলে প্রত্যাহার করে নিতে পারেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল। এখনও অবশ্য এই প্রসঙ্গে কোনও প্রতিক্রিয়া জানাননি বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে মনে করা হচ্ছে, রবিবার ভবানীপুর-সহ শামসেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুর বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হওয়ার পর এ বিষয়ে মুখ খুলতে পারেন তিনি।
আগামী বুধবার মহালয়ার দিন থেকে পুজার মেজাজে চলে যাবে গোটা রাজ্য। তাই মনে করা হচ্ছে, তিন বিধায়কের শপথ হতে পারে আগামী সপ্তাহের শুরুতেই। আর তখন প্রকাশ্যে আসতে পারে রাজভবন-বিধানসভার দ্বন্দ্ব।
স্পিকারের সঙ্গে রাজ্যপালের সঙ্ঘাতের ঘটনা কোনও নতুন নয়। এর আগে বিধানসভায় তাঁর বক্তৃতা সম্প্রচার করতে দেওয়া নিয়ে সংঘাত হয়েছিল রাজ্যপাল-স্পিকারের। রাজ্যপালের বাজেট বক্তৃতা সম্প্রচার করতে চেয়ে স্পিকারকে চিঠি দিয়েছিল রাজভবন। নিজের ক্ষমতা কাজে লাগিয়ে রাজভবনের সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন বিমান। আবার পর পর দু’বার সর্বভারতীয় স্পিকারদের সম্মেলনে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে লোকসভার স্পিকারের কাছে নালিশ করেছিলেন বিমান। বেশ কয়েকবার পত্রযুদ্ধও চলেছিল দু’জনের। এ ক্ষেত্রে যে বিধানসভার সঙ্গে রাজভবনের সঙ্ঘাত অনিবার্য, তা স্বীকার করে নিচ্ছেন বিধানসভার এক শীর্ষ আধিকারিক। কারণ প্রসঙ্গে তিনি জানাচ্ছেন, মুখ্যমন্ত্রীকে বিধায়ক হিসেবে শপথবাক্য পাঠ করাতে আগ্রহী বিমান। সেই ঘটনায় রাজ্যপালের কারণে ছেদ পড়লে জবাব দিতেই পারেন তিনি।
সূত্র : আনন্দবাজার
এসএ/