ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান কিউকমের সিইও রিপন গ্রেপ্তার
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৩:০৬ পিএম, ৪ অক্টোবর ২০২১ সোমবার
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান কিউকমের সিইও রিপন মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। প্রতারণার অভিযোগে গ্রাহকের করা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সোমবার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়- রোববার রাতে ঢাকার ধানমণ্ডি থেকে রিপন মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার একেএম হাফিজ আক্তার সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “মোটরসাইকেল কেনার জন্য টাকা দেওয়ার পরও ঠিক সময়ে তা না পাওয়ায় একজন ক্রেতা রোববার পল্টন থানায় কিউকমের মালিকের বিরুদ্ধে মামলা করেন।”
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা ওই মামলায় প্রতারণার অভিযোগ আনা হয়েছে রিপন মিয়ার বিরুদ্ধে।
হাফিজ আক্তার বলেন, “অনেক ক্রেতা কিউকমে মালামাল অর্ডার করে পণ্য না পেয়ে প্রতারিত হয়েছেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রিপন মিয়া বলেছেন, কিউকম লক্ষাধিক পণ্য অনলাইনে বিক্রি করে।”
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ক্রেতা আকৃষ্ট করার জন্য কিউকম ‘বিজয় আওয়ার’, ‘স্বাধীনতা আওয়ার’ ‘বিগ বিলিয়ন’ নামে বিভিন্ন অফারে অনেক কম দামে মোটরসাইকেল বিক্রির বিজ্ঞাপন দিত। অগ্রিম টাকা নিয়ে ২ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে গ্রাহককে পণ্য বুঝিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিত তারা।
হাফিজ আক্তার বলেন, “বাংলাদেশ ব্যাংক গত জুন মাসে ‘এসক্রো সিস্টেম’ চালু করে। ‘এসক্রো সার্ভিসে’ দুই পক্ষের লেনদেনের সময় তৃতীয় পক্ষের কাছে অর্থ বা সম্পদ জমা রাখতে হয়। পণ্য বা সেবা বুঝে পাওয়ার পরই কেবল তার মূল্য পান বিক্রেতা।”
এ ব্যবস্থায় ক্রেতা পণ্যের দাম অগ্রিম দিলে তা চলে যায় বাংলাদেশ ব্যাংক অনুমোদিত পেমেন্ট গেটওয়ের কাছে। কিউকম এর পেমেন্ট গেটওয়ে ছিল ফস্টার। কিউকম ক্রেতাকে পণ্য বুঝিয়ে দিয়ে চালানসহ নথিপত্র ফস্টারের কাছে জমা দিত। ফস্টার তখন ক্রেতাকে ফোন করে নিশ্চিত হত তিনি টাকা বুঝে পেয়েছেন কি না। এরপর কিউকম পণ্যের টাকা বুঝে পেত।
কিন্তু কিউকম গ্রাহকের পণ্য ঠিকমত বুঝিয়ে না দেওয়ায় ফস্টার বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘প্রুফ অব ডেলিভারি’ নির্দেশনা অনুযায়ী তাদের টাকা আটকে দেয়। ফলে ক্রেতা পণ্য বা টাকা কোনোটাই আর পায়নি।
রিপনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রায় ২৫০ কোটি টাকার পণ্যের ডেলিভারিতে আটকে থাকার তথ্য মিলেছে বলে জানান হাফিজ আক্তার।
এসএ/