মোংলা বন্দরে ঢুকতে পারছে না দুই বিদেশি জাহাজ
মোংলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ০৮:০৮ পিএম, ৫ অক্টোবর ২০২১ মঙ্গলবার
পণ্য নিয়ে মোংলা বন্দরের আউটারবারে (বহিঃনোঙ্গর) চারদিন ধরে আটকে আছে পানামা পতাকাবাহী ‘এমভি সিএস ফিউচার’ এবং টুভ্যালু পতাকাবহী ‘এমভি পাইনিয়র’। নাব্যতা সংকটের কারণে বিদেশি এ জাহজ দুটি বন্দরে প্রবেশ করতে পারছে না।
মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) জাহাজ দুটির স্থানীয় শিপিং এজেন্ট পার্ক শিপিংয়ের স্বত্বাধিকারী হুমায়ুন কবির পাটোয়ারি এবং এফএমএস মেরিটাইমের খুলনাস্থ ব্যবস্থাপক মোঃ বিপ্লব এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তার বলেন, আউটারবারে সাড়ে ৯ মিটার জাহাজ প্রবেশের জন্য ড্রেজিং করা হলেও তাদের জাহাজ দুটি সাড়ে ৯ মিটারেরও কম। শত শত কোটি টাকা খরচ করে ড্রেজিং করে লাভ হলো কি? আমাদের এখন মোটা অঙ্কের টাকা ডেমারেজ (আর্থিক ক্ষতি) দিয়ে লাইটার পাঠিয়ে পণ্য খালাস করতে হবে সেখানে।
এ প্রসঙ্গে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাষ্টার কমান্ডার শেখ ফখর উদ্দিন বলেন, ‘আপনাদের জানা উচিত, ড্রেজিং করার পর ওই জায়গায় আবার পলি পড়ে ভরাট হয়। এরপর বর্ষা মৌসুমে আরও খারাপ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এখন গতকাল (৩ অক্টোবর) আউটারবারে ড্রেজিং করতে একটি হোপার ড্রেজার পাঠানো হয়েছে’।
আর জাহাজ ঢুকতে না পারার বিষয়ে তিনি বলেন, এটা মেজর সমস্যা না, ওখানে লাইটার দিয়ে কিছু পণ্য খালাস করে বন্দরে জাহাজ দুটি আনা হবে।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর মোংলা বন্দরের উদ্দেশ্য ২৩ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার নিয়ে ৯.০৩ মিটারের পানামা পতাকাবাহী এমভি সিএস ফিউচার জাহাজ হিরন পয়েন্টের পাইলট ষ্টেশনে নোঙ্গর করে। এরপর ১ অক্টোবর ১১ হাজার মেট্রিক টন সিরামিক পণ্য নিয়ে আসে ৯.২৫ মিটার গভীরতার টুভ্যালু পতাকাবাহী আরেক বিদেশি জাহাজ এমভি পাইনিয়র ড্রিম।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী (সিভিল ও হাইড্রোলিক) ও আউটারবার ড্রেজিংয়ের পিডি (প্রকল্প পরিচালক) মোঃ শওকত আলী বলেন, প্রায় ৭০০ কোটি টাকা ব্যয়ে মোংলা বন্দর ২০২০ সালের ডিসেম্বর আউটারবারে ড্রেজিং শেষ হয়। এখন সেখানে কিছুটা পলি পড়ে গভীরতা কমে যাওয়ার কারণে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে।
তবে হোপার ড্রেজার দিয়ে সেটি পুন:রায় খনন কাজের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
এনএস//