করোনাকালেও ফলাফলে রেকর্ড গড়ল চেরী ব্লোসমস ইন্টা.স্কুল
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৯:৫২ পিএম, ৫ অক্টোবর ২০২১ মঙ্গলবার | আপডেট: ১১:১৭ পিএম, ৬ অক্টোবর ২০২১ বুধবার
করোনা মহামারীর ভয়াবহ পরিস্থিতিতে যখন বিশ্বব্যাপী শিক্ষা ব্যবস্থা স্থবির হয়ে পড়েছিল, ঠিক তখনই অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করে চেরী ব্লোসমস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজ।
গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে করোনার ভয়াল থাবার কারণে সরকারি নির্দেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্লাস এবং পরীক্ষার বিষয়ে অনিশ্চয়তা কাটানো এবং ছাত্রছাত্রীরা যাতে 'এ লেভেল এবং ও লেভেল' পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে বরাবরের মতো বিশ্বের মধ্যে অন্যতম স্থান অর্জন করতে পারে, সে জন্য প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ ড. সালেহা কাদের শিক্ষার্থীদের সঠিক দিক-নির্দেশনা দেন এবং অভিভাবকের মনে সাহস যোগান।
তাঁরই অনুপ্রেরণায় সকল শিক্ষক দারূণভাবে অনুপ্রাণিত হন এবং সকলের নিরলস প্রচেষ্টায় আবারো চেরী ব্লোসমস এর ছাত্রছাত্রীরা এ লেভেল এবং ও লেভেল ২০২১ পরীক্ষায় ১০ জন ওর্য়াল্ড হায়েস্ট নম্বরসহ সবগুলো পরীক্ষায় ৩০ জন এ+' এবং অসংখ্য শিক্ষার্থী এ গ্রেডে উত্তীর্ণ হয়ে করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও ১০০% পাসের হার অৰ্জন করে, যা বাংলাদেশের জন্য একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
এছাড়াও শিক্ষাবিদ ড. সালেহা কাদের-এর সুয্যেগ্য কন্যা ড. আফসানা আমিন ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সেলিং এর মাধ্যমে ওর্য়ান্ড হায়েস্ট নম্বরপ্রাপ্ত ছাত্রছাত্রীদের উচ্চ শিক্ষা অর্জনের জন্য দেশের বাইরে স্কলারশিপ এবং এডমিশন-এর জন্য সহযোগিতা করেন।শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেয়ার প্রয়াসে স্বল্প ফি নেয়ার মাধ্যমে নিন্ম ও মধ্যবিত্তদের আর্থিক সীমার মধ্যে শিক্ষার্থীদের ভর্তির সুযোগ প্রদানের মাধ্যমে শিক্ষার গুণগত মান বজায় রেখেছে দীর্ঘ পঁচিশ বছর ধরে।
বিশ্বায়নের যুগে শিশুদেরকে যোগ্য বিশ্ব নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে প্রতিষ্ঠানটি গতানুগতিক শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে বেরিয়ে এসে শিক্ষাকে আনন্দময় করার লক্ষ্যে নানান কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। মুক্তিযুদ্ধের মূলমন্ত্র ধারণ করে জাতীয় দিবস সমূহে বাঙালি সংস্কৃতি চর্চা, আবৃত্তি, সঙ্গীত, ছবি আঁকা এবং হামদ-নাতসহ বিভিন্ন সভা, সেমিনারের আয়োজন করে শিক্ষার্থীদের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশে অবদান রাখার মাধ্যমে অনন্য নজির স্থাপন করেছে।
উল্লেখ্য, এই প্রতিষ্ঠানটি শুধু পড়ালেখাই নয়, গ্রাম বাংলার চিরায়ত ঐতিহ্যের গান হাসন-লালন, বৈশাখের গান, বৃষ্টি বন্দনার গান, দ্বৈত সংগীত, জারি-সারি, ভাটিয়ালী, পালাগান, পুঁথিপাঠ, চিত্রাঙ্কন শেখানো হয়। যাতে করে শিশুরা বাংলা সংস্কৃতির চর্চা করতে পারে। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে রচনা ও ছবি আঁকার প্রতিযোগিতা, 'মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চিত্রাঙ্কন ও আলোচনা সভা, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন, মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন করা হয়ে থাকে।
এছাড়াও শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধির জন্য স্কুলটিতে রয়েছে একাধিক ক্লাব। যে ক্লাবগুলো শিক্ষার্থীদের মনস্তাত্ত্বিক বিকাশে ভূমিকা রাখছে। ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকদের নিয়ে গঠিত হয়েছে 'চেরী ব্লোসমস মাদার্স ক্লাব'। শিশুদের মায়েদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য ডাক্তারি পরামর্শ, আইনগত পরামর্শ, রান্না শেখানো, ফ্রি ইংলিশ লার্নিং কোর্স, মেহেদী উৎসব, পিঠা-পুলি উৎসবসহ অসংখ্য অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে অভিভাবকরা মেতে থাকে।
প্রতিষ্ঠানটি দেশ ও দেশের বাইরেও দারুণ সুনাম অর্জন করেছে। এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ওয়ার্ল্ড হায়েস্ট নাম্বার পেয়ে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন মানসম্মত প্রতিষ্ঠানে স্কলারশিপ নিয়ে অধ্যয়ন করছে।
ড. সালেহা কাদের ইউকে এডেক্সসেল এবং পিয়ারসন কনফারেন্সে অংশগ্রহণ করেন। ব্রিটিশ কাউন্সিলের কনফারেন্সে বাংলাদেশ থেকে প্রতিনিধি হিসেবে তিনি মিশর, শ্রীলঙ্কা এবং যুক্তরাজ্যে অংশগ্রহণ করে কৃতিত্বের সঙ্গে প্রশংসা অর্জন করেন। এসব কনফারেন্সে তিনি দেশের শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে চমকপ্রদ বক্তব্য রাখেন, যা সর্বজন প্রশংসিত হয়েছে। শিক্ষার উদ্দেশ্যে তিনি বিশ্বের প্রায় ২০টি দেশ ভ্রমণ করেছেন।
দেশে শিক্ষাব্যবস্থা অবদান রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ চেরী ব্লোসমস ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের প্রিন্সিপাল ও চেয়ারম্যান ড. সালেহা কাদের ‘ওয়ার্ল্ড এডুকেশন কংগ্রেস গ্লোবাল অ্যাওয়ার্ড’ অর্জন করেন। এছাড়া তিনি শিক্ষা ক্ষেত্রে অবদান রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ ৩০টির বেশি সম্মাননা পেয়েছেন। উল্লেখ্য, চেরী ব্লোসমস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজ রাজধানীর মিরপুরের প্রথম ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল।
কেআই/এনএস//